ডেস্ক নিউজ:অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপ লক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান উভয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অমর একুশের ঐতিহাসিক গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্র পতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাষ্ট্রপতির পরই প্রধান উপদেষ্টা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তাঁরা ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানি য়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যা পক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
এ সময় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানেরা, বিদে শি কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ত্যাগ করলে সর্বস্তরের জনগণের জন্য শহীদ মিনার খুলে দেওয়া হবে।
এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারো মানুষের ঢল নামবে। ১৯৫২ সালের এই দিনে ভাষাশহীদদের সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মত্যাগকে স্মরণ করা র জন্য এসব মানুষ হাতে ফুল নিয়ে এবং ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গুনগুন করে গেয়ে খালি পায়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহীদ মিনার এলাকা ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ দিবসটি উপলক্ষে শহীদ মিনার এলাকার দেয়াল ও রাস্তাকে রংতুলির আঁচড়ে আলপনায় সাজিয়ে ছেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি একটি শোক ও বেদনার দিন হলেও, এটি বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদদের আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এক বিশেষ দিন।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ববাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকি স্তান) ছাত্র, যুবক এবং সাধারণ মানুষ প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসেন।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যখন মিছিলের গতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালায়, সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক শহীদ হন।