Related Articles
মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) উদ্ভা বিত উচ্চ ফলনশীল পাট, কেনাফ ও পাটশাকের বীজ উৎ পাদনের আধুনিক কলা-কৌশল বিষয়ে দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) যশোর জেলার মনিরামপুরে অবস্থিত পাট গবেষণা উপ-কেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নার্গীস আক্তার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. ইয়ার উদ্দিন সরকার, পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন), বিজেআরআই, ঢাকা এবং বিশ্বজিৎ কুন্ডু, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিজেআরআই, ঢাকা।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন ড. মো. শিবলী নোমান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পাট গবেষণা উপ-কেন্দ্র, মণিরামপুর।
প্রশিক্ষণে যশোর ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার ৫০ জন পাটচাষী অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের বিজেআর আই উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল পাট ও কেনাফ জাত, মান সম্মত বীজ উৎপাদন কৌশল, রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, জমি প্রস্তুতি, সার প্রয়োগ, ফসল সংগ্রহ ও বীজ সংরক্ষণ বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
ড. নার্গীস আক্তার বলেন,।“পাট বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও অর্থকরী ফসল। উন্নত জাত ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার কর লে কৃষকরা পাট ও কেনাফ চাষে আগের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ বান হতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “বিজেআরআই উদ্ভাবিত জাতসমূহের উৎপাদন সম্ভাবনা অনেক বেশি। এসব জাতের বীজ সারা দেশে সম্প্রসারণের মাধ্যমে পাটশিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।”
প্রধান অতিথি পাটশাক ও সবজি মেস্তা (চুকুর) ফসলের পুষ্টিগুণ ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা সম্পর্কেও আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, “মেস্তা শুধু সবজি হিসেবেই নয়, এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর ও মানবদেহের জন্য উপকারী একটি ফসল। এর বাণিজ্যিক চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি সম্ভব।”
দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের মধ্যে তথ্যপত্র ও প্রশিক্ষণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
Bartabd24.com সব খবর সবার আগে