Related Articles
ফকির গোলাম তাবরেজ , বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১১নং বহরবুনিয়া ই উনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে মাসুদ বাহিনী’ নামে পরিচিত একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে ছে।
এলাকাবাসীর দাবি, এই বাহিনীর প্রধান মোঃ মাসুদমোল্লা, যিনি ইউনিয়ন তাতীঁলীগের সহ-সভাপতি হিসেবেও পরিচিত, তার নেতৃত্বে চাঁদাবাজি, ঘের দখল, মাদক ব্যবসা ও নানা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ১১নং বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোঃ আবুল কালা ম মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মাসুদ মোল্লার বাহিনীতে ইম রান মোল্লা, রাজ্জাক মোল্লা, লোকমান মিয়া, রায়হান মোল্লা, মুন্না মোল্লা এবং আরও অজ্ঞাত অনেকে জড়িত।
তারা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,২০১২ সালে এই বাহিনী ফুলহাতা গ্রামের মান্নান নামে এক ব্যক্তির দুটি চোখ উপড়ে ফেলে।
তিনি আরও বলেন,২০১২ সালে এই বাহিনী ফুলহাতা গ্রামের মান্নান নামে এক ব্যক্তির দুটি চোখ উপড়ে ফেলে।
পরে মাসুদ সিলেটে পালিয়ে গিয়ে চোরাচালান ও ডাকাতির মাধ্য মে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে ফিরে এসে হিন্দু
সম্প্রদায়ের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের জমি-ঘর দ খল করে নেয়।
সম্প্রদায়ের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের জমি-ঘর দ খল করে নেয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়,২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত হিন্দুপাড়া এলাকায় একটি যৌথ মৎস্য ঘের বারবার দখল করে ঘেরের মৎস্যসম্পদ লুটপাট করা হয়। ২০২৪ সালে
ঘেরের অস্থায়ী বাড়ি (গৈঘর) পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং চৌ কিদারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
ঘেরের অস্থায়ী বাড়ি (গৈঘর) পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং চৌ কিদারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
সবশেষে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টা ৩০ মি নিটের দিকে মাসুদ বাহিনী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আ বুল কালাম মোল্লাসহ স্থানীয়দের মৎস্য ঘের দখল করে নেয় এবং চৌকিদার মোঃ জুলফিকার আলী (৫০)-কে মারধর করে গুরুতর জখম করে।
এ ঘটনায় তার সামনের দাঁত ভেঙে যায়। এছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয় জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), আলমগীর হোসেন (৩৮), শামীম হোসেন ৩০) ও কবীর হোসেন (৩২)-কে।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মাসুদ বাহিনী বর্তমানে আ রও বড় ধরনের সহিংস কার্যক্রমের পরিকল্পনা করছে। যে কোনো সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
অতএব, তিনি প্রশাসন ও আইন-শৃক্সখলা বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ বেদার হোসেন হাও লাদার, মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, মিন্টু মিয়া, মোঃ হান্নান খান, মোঃ রাসেল মোল্লা, মোঃ কবির খানসহ এলাকার শতাধীক ভুক্ত ভোগী পরিবারের সদস্যরা।
Bartabd24.com সব খবর সবার আগে