ডেস্ক নিউজ:২০১৩ সালের ৫মে হেফাজতের মহাসমাবেশ গণঅভ্যু ত্থানে রূপ নিতে পারতো কিন্তু রাজনৈতিক নেতা দের ভুল, অদূরদর্শিতা ও সমন্বয়ের অভাবে তা সফল হয় নি বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি র চেয়া রম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
আজ রাজধানীর শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ ও ২০১৩ সালের বিক্ষো ভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিহত শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণা লয়ের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হাসান।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর মহিব্বুল্লাহ বাবুন গরী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক, গণঅ ধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “২০১৩ সালে আলেম সমা জের নেতৃত্বে দেশজুড়ে গণজাগরণ হয়েছিলো।
আলেম সমাজের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজস্ব খরচে লক্ষ লক্ষ মানুষ সেদিন ঢাকায় সমবেত হয়েছিলো। সেদিন হাসিনার মসনদ কেঁপে উঠেছিলো কিন্তু রাজনৈতিক নেতা দের সমন্বয়হীনতা ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই সেটা গণঅ ভ্যুত্থানে রূপ নিতে পারেনি।
নাহয় সেদিনই ইতিহাস ভিন্নভাবে লিখা হতে পার তো। ”তিনি আরো বলেন,”আজ অনেকে জুলাইয়ের ক্রেডিট নিতে মরিয়া, কিন্তু ২০১৩ সালের মহাসমাবেশে শাপলার আন্দোলনে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল।
সেখানে যেহেতু ক্র্যকডাউন হয়েছিল এবং আপাত: দৃষ্টি তে মনেহয়েছিল আলেমরা হেরে গেছে তাই সেই আন্দো লনের ক্রেডিট কেউ নিতে চায় নি।
ঘটনাপরবর্তী ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা স্মরণ করে মঞ্জু বলেন, সেদিন শুধু অ নেক মিডিয়া কর্মীই চাকরি হারান নি, অনেককেই আত্ম গোপনে যেতে হয়েছে।
দিগন্ত টেলিভিশনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ ও ফুটেজ থাকার কারণে, পুলিশ দিগন্ত সংশ্লিষ্টদেরসখুঁজে বেড়াতো।
সেদিন শহীদ পরিবারের সদস্যরাও পরিচয় দিতে ভয় পে তেন, কারণ পুলিশ গিয়ে তাদের হুমকি দিতো।”
খুনীদের বিচারের দাবি জানিয়ে এবি পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, বিচার সম্পন্ন করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সাক্ষ্য দেওয়া।
আমাদের সন্তান, ভাইদের খুনের ন্যায়বি চারের জন্য সবা ইকে এগিয়ে এসে সাক্ষ্য দেয়ার এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে শহীদ পরিবারগুলোর প্রত্যেকের হাতে ১০ লক্ষ টাকার করে উপহারের চেক তুলে দেওয়া হয়।
Bartabd24.com সব খবর সবার আগে