মামুন পারভেজ হিরা,নওগাঁ ঃ নওগাঁর রাণীনগরে প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের নামে স্কুলে অনুপ্রবেশকারীদের মারপিটে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) উপজেলার গোনা উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনার সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবর একাধিক লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকলেছুর রহমা ন জানান তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে স্কুলের সহকারি শিক্ষক ও স্থানীয় বিএনপি নেতা ইলি য়াস হোসেন মিঠু এবং গোনা গ্রামের বাসিন্দা ও রাণীনগর মহিলা কলেজের নৈশ্যপ্রহরী শহিদুল ইসলাম সুইটের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমা বেশের আয়োজন করা হয়। বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত কর্র্মসূচির প্রথম দিকে তেমনঅংশগ্রহণকারী না থাকায় কিছু বহিরাগত লোকজন পাঠদান চলাকালীন সম য়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্কুলে প্রবেশ করে। এসময় বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক তাদের কর্মসূচিতে অং শগ্রহণ করার কথা বললে শিক্ষার্থীরা যেতে না চাইলে বহিরা গতদের মারপিটে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে বহি রাগ তরা প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীর কক্ষে তালা ঝুলিয়ে
বন্ধ করে দেয়। পরে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে উপজে লাহাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তিনি আরো বলেন এমন কর্মকান্ডে বিদ্যালয়ে এক ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরম ভাবে নষ্ট হয়েছে। যে কেউ কারো বিরুদ্ধে যে কোন ধরণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারেন কিন্তু কর্মসূচির নামে একটি বিদ্যালয়েবহিরাগতদের অনুপ্রবেশ মেনে নেওয়া যায় না। আ মি এমননৈরাজ্যের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বুধবার কর্তৃপক্ষ বরাবরলি খিত অভিযোগ প্রদান করেছি। আমি আ শাবাদি দ্রুতইঅভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষ জড়িতদের বিরুদ্ধেআইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মারপিটে আহত বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাহিদুল
ইসলাম জানায় মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে বাহির
থেকে তাদেরকে অংশগ্রহণ করার জন্য মিঠু স্যার ডাকছেন বলেবহিরাগতরা ডাক দেয়। শিক্ষার্থীরা যেতে না চাইলে ৫থে কে ৬জন বহিরাগত যুবক স্কুলে প্রবেশ করে প্রতিবাদকারী ওই শিক্ষার্থীদের মারপিট শুরু করে। মারপিটে নবম শ্রেণির চারজন শিক্ষার্থী গুরুত্বরআহত হলে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার রাতে আহত শি ক্ষার্থীরা বাড়ি চলে যায়। নেতৃত্বদানকারী ও আন্দোল নকা রী সহকারি শিক্ষক মো: ইলিয়াস হোসেন মিঠু মোবাইল ফোনে জানান তারা তাদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শান্তি পূর্ন ভাবেই করেছেন। কিন্তু কারা স্কুলে প্রবেশ করে শিক্ষা র্থীদের মারপিট করেছে এবং কক্ষে তালা দিয়েছে সেই বিষয় টি তার জানা নেই। থানার ওসি তারিকুল ইসলাম জানান এম ন ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে পরিবেশ শান্ত করা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের মারপিট করা এবং কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়া কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি।
লিখিত অভি যোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফি কুল ইসলাম বলেন একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাস রুমে বহিরা গতরা প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের মারপিট করে আহত করবে এটা অত্যন্ত নাক্কারজনক একটি কাজ।
আয়োজকরা তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করতে গিয়ে স্কুলের কেউ বাধা দিলে সেটি সেক্ষেত্রে তারা বাহিরে থেকেই আন্দোলন করতে পারতো।
কিন্তু এভাবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই হুট করে একটি বি দ্যালয়ে বহিরাগতরা প্রবেশ করে হট্টগোলের সৃষ্টি করবে এটা মেনে নেওয়াবিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে আন্দোল নকা রী দের পক্ষ থে কে একটি অভিযোগ পেয়েছি তবে স্কুলে বহি রাগতরা অনু প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের মারপিট এবং কক্ষে তালা লা গিয়ে ছে এমন বিষয় জানা নেই।
তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।