মামুন পারভেজ হিরা,নওগাঁ ঃ নওগাঁর রাণীনগর-কালীগঞ্জ সড়কের সোনাকানিয়া ব্রিজ নামক স্থানটি ছিলো এক মরণফাঁদ জোন।
দীর্ঘ ভোগান্তির পর সড়কটির ২২কিলোমিটার অংশের নতুন করে প্রশস্তকরণ ও পাঁকাকরণের কাজ শেষ হয়েছে গত জুলাই মাসে।
যাত্রীদের সুবিধার্থে সড়কের সোনাকানিয়া নামক স্থানে দুই ব্রিজই চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।
কিন্তু গত জুলাই মাসের শেষের দিকে একইদিকে যাওয়ার সময় ওভারটেকিং করতে গিয়ে সিএনজি ও মোটরসাইকেল চালকের ভুলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। সেই দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ দুইজন মৃত্যুবরণ করে।
দুর্ঘটনারোধে ওইদিনই রাস্তার দুই পাশে স্পিড
ব্রেকার অর্থাৎ গতিরোধক স্থাপন করে নওগাঁ সড়ক বিভাগ।
পরের দিন ওই স্পিড ব্রেকারে এসে এক মোটরসা ইকেল চালক নিয়ন্ত্রন হারালে আবারো এক মহিলা মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
পরপর এই দুই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা স্থানটি সরেজমিনে পরিদর্শন সাপেক্ষে একটি ব্রিজ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পরবর্তিতে নওগাঁ সড়ক বিভাগের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই মরণফাঁদে আর কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।
আর কাউকে এই মরণফাঁদসহ সড়কের অন্য কোন স্থানেও দুর্ঘটনার কবলে পরে প্রাণ হারাতে হয়নি।
নওগাঁ সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নূরে আলম সিদ্দীক বলেন সড়কের মরণফাঁদ নামক এই স্থানটিকে নিরাপদ করার জন্য নতুন নির্মাণ করা ব্রিজটিকে উন্মুক্ত রেখে দুই পাশে গাইড পোস্ট, স্যাবরনসহ প্রয়োজনীয় সাইন সিগন্যাল স্থাপন করা হয়েছে।
রাতে ব্রিজের মোড়টিকে সহজেই বোঝার জন্য
পাঁকা রাস্তার উপর দিয়ে লাগানো হয়েছে ক্যাটস আই। রাতেরবেলায় যানবাহনের আলো ক্যাটস আইতে পড়ে সহজেই চালকের দৃষ্টিতে ফেরত আস বে আর তখন চালক বুঝতে পারবেন যে কোন
দিকে যেতে হবে। এছাড়া রোডমার্কিং তো রয়েছেই।
তাই চালক ভাইয়েরা একটু সতর্ক হয়ে নিয়ম মেনে নিরাপদ গতিতে চলাচল করলে এই সড়কে আর কোন দুর্ঘটনায় কেউ প্রাণ হারাবে না বলে আমি আশাবাদী।
নওগাঁ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশে দুল হক রাসেল বলেন নওগাঁর প্রতিটি সড়ক আধুনিকায়নের পর তা চলাচলের জন্য নিরাপদ করার কাজে সড়ক বিভাগ সব সময়ই কাজ করে
আসছে। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক নওগাঁর রাণীনগর-কালীগঞ্জ সড়কটি।
সড়কের সোনাকানিয়া নামক স্থানসহ পুরো সড়ক টিকে চলাচলরত প্রতিটি যানবাহন ও যানবাহনের চালক এবং যাত্রীদের জন্য নিরাপদ করার লক্ষ্যে সকল ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সড়কের পাশে স্থাপন করা বিভিন্ন নির্দেশনা ও সংকেত সম্ব লিত সাইনবোর্ডগুলো লক্ষ্য করে বেপোরোয়া ভাবে চলাচল না করে নিয়মমাফিক চলাচল করলে সড়কের কোথাও কোন প্রকারের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকবে না বলে আমি শতভাগ আশাবাদি।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সড়ক গুলোকে টেকসই করার পাশাপাশি নিরাপদ করার লক্ষ্যে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে আগামীতেও নানা ধরনের কর্মকান্ড বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।