মামুন পারভেজ হিরা,নওগাঁ ঃ ঋতু বৈচিত্রে এখন দিন শেষে
সন্ধ্যালগ্নে ও রাতের শেষে ভোর বেলায় কুয়াশা জানানদিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা।

এ বার্তার সাথে সাথে উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নও গাঁর আত্রাই উপজেলার প্রতিটি মাঠ জু ড়ে এখ শীত কা লীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষ কেরা। উপ জেলার প্রতিটি মাঠে এখন সবুজের হাতছানি। যে দিকেচোখ যায়শুধু সবুজ আর সবুজ।

এবার আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় জমিতে শীতকালীন বি ভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষক পরি বারগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। ক্ষেতগুলো এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

পুবালি বাতাস, শিশির ভেজা কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে কৃষকেরা জমিতে হাল চাষ, চারা রোপণ, ক্ষেতে পানি ও ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করাসহ নানা কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

শুধু নিজেদের চাহিদাই নয়, বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এসব
সবজি। শীতের শুরুতে নওগাঁ সদরসহ পার্শ্ববর্তী জেলা গুলো তে বিভিন্ন জাতের সবজি পাঠাবে এ উপজেলার কৃষকরা, এ মনটিই ভাবছেন তারা।

এখন সবুজে সবুজে ভরে উঠছে উপজেলার প্রতিটি ফসলের মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি সীম গা ছের ডগা, শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বে গুন, মুলা, করলা, পটল, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শী তকালীন সবজির চারা। তাই মাঠে মাঠে এসব ফসল পরি চর্যায় এখন ব্যস্ত কৃষকরা।

সেই কাক ডাকা ভোরে কোদাল, নিড়ানী, বালতি, স্প্রে মশিন
ইত্যাদি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে এখন কৃষকরা। ক্ষেতে নেমে প ড়েন সবজি পরিচর্যায়। বিকেল অবধি মাঠেই চারার গোড়ায় পানিঢেলেই বাড়ি ফিরছেন সবাই। তাদের কেউ দাঁড়িয়ে কোদালচালাচ্ছেন, অনেকেই গাছের গোঁড়ালির পাশ দিয়ে ঘোরাচ্ছেননি ড়ানী, কেউবা খালি হাতেই গাছগুলো ঠিক কর ছেন। কেউ বানু য়ে পড়া চারার স্থলে সতেজ চারা প্রতিস্থাপন করছেন, এভাবেশী তকালীন সবজি নিয়ে চলছে কৃষকের কর্মযজ্ঞ। বেড়েই চলছেকৃ ষকদের কাজের চাপ। ধান চাষে তেমন একটা সুবিধা করতেপা রছেন না অনেক কৃষক। কো নোভাবেই লোকসান ঠেকাতেপারছেন না তারা। তাই রকমারি সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেনউপজেলার অনেক কৃষক।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন ও তা রাটিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম ও মির্জাপুর গ্রামের কৃষক নেপাল বলেন, সবজি চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না।

তুলনামূলকভাবে মূলধনও কম লাগে। পরিশ্রমও তুলনামূলক কম। তবে সেবা ক্রটি করা যাবে না।

কিন্তু রোগবালাই দমনে সবজি ক্ষেতে কীটনাশক বেশি প্র য়োগ করতে হয়। স্বল্প সময়েই সবজি বিক্রি উপযোগী হয়ে ওঠে।

প্রায় প্রতিদিনই বাজারে সবজি বিক্রি করা যায়। পরিবারের
চাহিদাও মেটানো সম্ভব হয়। ক্ষেতে সবজি থাকা পর্যন্ত প্রত্যে ক কৃষকের হাতে কমবেশি টাকা থাকে। যা অন্য ফসলের বেলায় সম্ভব না।

এছাড়া চলতি মৌসুমে সবজির দামও বেশ ভালো। সবমি লিয়ে সবজি চাষকেই এসব কৃষকরা লাভজনক মনে কর ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলার ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি
কর্মকর্তা মারজিয়া পারভিন বলেন, সবজির কদর সারাদে শেই রয়েছে। তবে তা আগাম চাষ করতে পারলে আরও বেশি মুনাফা পাওয়া যায়।

আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করলে কীটনাশকমুক্ত সবজি চাষ করা সম্ভব। শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন সবজি চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আ মরা সার্বক্ষণিক নজররাখছি।

যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুতপদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সবজি ক্ষেতে পোকামাকড়আক্রমণ করবেই। সেজন্য কীটনাশক ব্যবহার না করেই আধুনিকবিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকামাকড় দমন করা সম্ভব।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ
তালুকদার বলেন, কৃষকদের সবজি চাষে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছেন কৃষি কর্ম কর্তারা।

বর্তমানে সীম, বেগুন, লালশাক, মুলা শাক, ফুল কপি, বাঁধা কপি, টমেটো এর আবাদ চলছে বলে তিনি জানা ন। সবজি চাষে যুক্ত উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ উৎ ফুল্ল। কারণ তারা প্রাকৃতিক অনুকূল পরিবেশের জন্য এবার উৎপাদিত ফসলের ফলন ও দাম বেশ ভালো পাবেন বলে তি নি মনে করছেন।

কৃষি বিভাগের লোকজনের নিয়মিত মনিটরিংয়ে আধুনিক
পদ্ধতির ব্যবহার বেড়েছে। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বাড়ায় কৃষকদের মুনাফাও বেড়েছে কয়েকগুণ। চাষিরা এখন বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষা বাদ করে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে বলেও জানান। #