ডেস্ক নিউজ: আজ ৪ ফেব্রুয়ারি এই বিশেষ দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জ্ঞানের সাধক, শিক্ষক ও সাহিত্যিক তৌফিক সুলতান।
তার জীবন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্যের নয়, বরং সমাজের জন্য এক অনন্য অবদান রেখে চলার এক অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত।
শিক্ষকতা, সাহিত্য এবং মানব কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি সমাজের আলো কবর্তিকা হয়ে উঠেছেন।
তার জন্মদিনে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা।

আজ ৪ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের আয়নায় :

৪ ফেব্রুয়ারি শুধু তৌফিক সুলতানের জন্মদিন নয়, বরং ইতিহাসের পাতায়ও এটি একটি গুরু ত্বপূর্ণ দিন।

আসুন, জেনে নেওয়া যাক এই দিনে ঘটে যাও য়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, আবিষ্কার ও বিশেষ দিবস সম্পর্কে—

বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা

১. শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতা দিবস (১৯৪৮)

৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কা ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। এটি দেশটির জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হয়।

২. রোজা পার্কস দিবস (যুক্তরাষ্ট্র)

এই দিনটিকে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ‘রোজা পার্কস দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়, যিনি ১৯৫৫ সালে আমেরিকায় বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

৩. ফেসবুকের যাত্রা শুরু (২০০৪)

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযো গমাধ্যম ফেসবুক ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সালে মার্ক জাকারবার্গ প্রতিষ্ঠা করেন।

৪. অ্যাভরেস্ট জয়ের প্রথম মহিলা অভিযাত্রী (১৯৭৫)

জুনকো তাবেই ১৯৭৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম মহিলা হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন, যা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ৪ ফেব্রুয়ারি

১. ১৯৩৬ সালে রাডারের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়

রাডার প্রযুক্তির কার্যকারিতা ১৯৩৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করা হয়, যা সামরিক ও বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই যুগা ন্তকারী পরিবর্তন এনেছে।

২. ২০০৪ সালে ফেসবুকের যাত্রা

এই দিনেই ফেসবুক প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরে সারা বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগের চেহারাই বদলে দেয়।

বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিদের জন্ম ৪ ফেব্রুয়ারিতে :

এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন আরও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য—

  • রোজা পার্কস (১৯১৩) – আমেরিকার নাগরিক অধিকার আন্দোলনের প্রতীক।
  • ক্লাইড টমবগ (১৯০৬) – প্লুটো গ্রহের আবিষ্কারক।
  • ড্যানকো কুনসেক (১৯৫০) – ক্রোয়েশিয়ান কবি ও সাহিত্যিক।
তৌফিক সুলতান এক আলোকিত দিগন্ত :

তৌফিক সুলতানের জীবনযাত্রা কেবলমাত্র একজন লেখক বা শিক্ষকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; তিনি একজন সমাজ সংস্কারকও। তিনি ‘ওয়েলফশন মানবকল্যাণ সংঘ’ ও ‘আল তৌফিকী পরিবার’-এর প্রতিষ্ঠাতা, যা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে।

শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে তার নিরলস প্রচেষ্টা এবং সাহিত্য জগতে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার লেখনীতে থাকে গভীর অন্তর্দৃষ্টি, বাস্তবতার নিরিখ, এবং সমাজ পরিবর্তনের আহ্বান।

শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি অনুপ্রেরণা, পাঠকদের জন্য এক চিন্তার দিগন্ত।

৪ ফেব্রুয়ারি শুধুমাত্র ক্যালেন্ডারের আরেকটি দিন নয়, এটি এমন এক মানুষের জন্মদিন, যিনি তার কর্ম, আদর্শ এবং স্বপ্ন দিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছেন।

এই দিনে আমরা শুধু তার জন্ম উদযাপন করবো না, বরং তার দেখানো আলোয় নিজে কে আলো কিত করবো।

শুভ জন্মদিন, তৌফিক সুলতান! আপনার জীবন হোক সাফল্যমণ্ডিত, মানবতার সেবায় আরও দীপ্তিময়!

হিমু আক্তার, সংবাদকর্মী & শিক্ষার্থী- ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,ঢাকা,বাংলাদেশ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *