ঢাকা অফিস:শেষ রক্ষা হলো না দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলমের। নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। দৈনিক যুগান্তরকে ব্যবহার করে, শেখ হাসিনার সুবিধা ভোগী সাইফুল আলম সম্পদশালী হয়েছেন।
একাধিক সূত্রে জানাযায়,আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাই ন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবার আর ও ২১ সাংবাদি কের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে আজ ব্যাংক গুলো কে চিঠি দিয়েছে। এরমধ্যে যুগান্তর সম্পাদকের নাম তালি কার শীর্ষে।
বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, “এসব ব্যক্তি (স্বামী/স্ত্রী, পুত্র-কন্যাসহ) ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোর তথ্যাদি (হি সাব খোলার ফরম, কেওয়া ইসি ও তত্সংশ্লিষ্ট দলিলাদি এবং শুরু হতে হালনাগাদ লেনদেন-এর বিবরণী ইত্যাদি) প্রেরণের জন্য নির্দে শনা প্রদান করা হলো।“
এরআগে আগেই সরকার সাইফুল আলমের সচিবালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। প্রেস এক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে।তিনি পুন:বিবেচনার আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যত হয়েছে।
একজন সাংবাদিকের এক্রিডিটেশন কার্ড তার সম্মান এবং অস্তী ত্ব। সেখানে খোদ সম্পাদকের কার্ড বাতিল হলো। সচিবালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ হলো।সরকারি অনুষ্ঠানেও নিষিদ্ধ। জাতীয় প্রেস ক্লাবেও নিষিদ্ধ।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।এখন দুর্নীতির অভিযোগে স্ত্রী, সন্তানসহ তার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। তিনি মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং জুলাইয়ের গনহত্যার গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত।
সবচেযে অবাক করার বিষয়, এখনও কিভাবে তিনি যুগান্তর সম্পা দক হিসেবে টিকে আছেন? মহা দাপটের সাথে দৈনিক যুগান্তরে কাজ করে যাচ্ছেন। সাংবাদিকদের বেতন না বাড়িয়ে পদোন্নতি দিচ্ছেন।
আরও জানাযায়,জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সাইফুল আলমের সদস্যপদ বাতিল ঘোষণা করেছে। অথচ এরআগে সাই ফুল আলমের দিন শুরু হত জাতীয় প্রেসক্লা বের নাস্তার আড্ডার মধ্য দিয়ে।তিনি ছিলেন শেখ হাসিনার দুই মেয়াদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপ তি। সর্বশেষ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ সভা পতি নির্বাচিত হন।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজ তিনি প্রেসক্লা বেও নিষিদ্ধ।এই সম্পাদকের অপরাধ কি? তিনি ছিলেন স্বৈরাচার আওয়ামী সরকা রের দালাল সাংবাদিক চক্রের অন্যতম সদস্য।এখন সাংবাদিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে একজন পেশা দার সাংবাদিক পেশাদারিত্ব বিসর্জন দিয়ে সরকারের দলবাজ হয়ে দালালি কর তেন ?
শেখ হাসিনার আশির্বাদ নিয়ে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হয়েছেন। অনেক সুবিধাদি নিয়েছেন সরকা রের কাছ থেকে পিস্ত লের লাইসেন্স পেয়েছেন।শেখ হাসিনার প্রতিটি সংবাদ সম্মেলনে, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠা নে আমন্ত্রন পেয়েছেন।
শেখ হাসিনার বিদেশ যাত্রায় সফরসংগী হয়েছেন।আওয়ামী সর কারের একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে যুগান্ত রের চীফ রিপোর্টার থেকে উপসম্পাদক, এরপর নির্বাহী সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং এখন পুরো সম্পাদক হয়েছেন।
শত শত ছাত্র জনতার লাশের উপর দিয়ে কতিপয় বিবেকহীন সাংবাদিক নামধারী চাটুকার দল বাজ কিভাবে শেখ হাসিনাকে দৃঢ়ভা বে সমর্থন জানিয়ে উস্কানি মূলক বক্তব্য রাখছিলেন?
যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে দৃঢ়তার সাথে বলেছিলেন,-‘আপনি গনমা নুষের নেত্রী। মানুষের বিশ্বাস এবং আস্থা ছিল দেশের যে কোনো সংকট বা সমস্যা উত্ত রণে ভূূমিকা রাখা প্রয়োজন ছিল তার।
একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক হিসেবে দেশের ক্রান্তিলগ্নে, ছাত্র জনতার লাশ আর শত শত আহতদের আহাজারি উপেক্ষা করে শেখ হাসিনাকে এভাবে সাহস যোগাতেন এটা নিয়ে সাংবা দিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে?