শৈলকুপা(ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা ঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বর্তমান আরএস রেকর্ডের গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় ৪টি মৌজার জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ রয়েছে। যে কারনে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেই সাথে জমির মালিকগন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ২১নং উত্তর বোয়ালিয়া,২২নং জাঙ্গালিয়া,৫১নং শৈলকুপা, ১২২ নং তরফ উমেদপুরসহ মোট ৪টি মৌজার আরএস রেকর্ডের গেজেট সরকারী ভাবে প্রকাশ না হওয়ায় অনলাইনে জমির দাখিলা বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে হাতে লেখা দাখিলা দিচ্ছে নাউনিয়ন ভ’মি অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
যার কারণে জমি রেজিষ্ট্রি,ব্যাংক ঋণ নিতে ভ’মি মালিকদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের জমি বিক্রেতা ফজলুর রহমান ও উমেদপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পারিবারিক সমস্যা কারণে জমি বিক্রি করে দাখিলা না পাওয়ায় ক্রেতার নিকট জমি রেজিস্ট্রি করতে পারছি না। ক্রেতা টাকাও দিচ্ছে না। মহা বিপদে আছি।
উমেদপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবো। জমি বিক্রি করেছি কিন্তু দাখিলা না পাওয়ায় জমি রেজিস্ট্রি করতে পারছি না ফলে ক্রেতা টাকাও দিচ্ছে না। শৈলকুপার শওকত আলি জানান, ব্যাংক থেকে ঋণ নেব কিন্তু দাখিলা না পাওয়ায় ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে না।
শৈলকুপা রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক আক্তারুজ্জামান মনির জানান, দাখিলা না পাওয়ায় আমরা কোন দলিল রেজিস্ট্রি করতে পারছি না। যার কারণে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
শৈলকুপা উপজেলা সাব-রেজিস্টার ইয়াসমিন শিকদার জানান, হাল দাখিলা পেলে জমি রেজিস্ট্রি করা হবে। এই চারটি মৌজার আরএস রেকর্ডে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে বলে উপজেলা ভ’মি অফিসের মাধ্যমেজানতে পেরেছি। তবে ভ’মি মালিকদের ভোগান্তি হচ্ছে। সেইসাথে রকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
শৈলকুপা উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভ’মি) বনি আমিন জানান,এসএ রেকর্ডে কাটা-ছেড়া থাকায় নতুন আরএস রেকর্ডের অনলাইনে আবেদন করে দাখিলা না পাওয়ায় জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রয়েছে।
এব্যপারে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি,সেইসাথে যেসকল ভ’মিমালিকগন জমি রেজিস্ট্রির জন্য ভ’মি অফিসে এসেছে তাদের প্রত্যয়ন পত্র দেওয়া হচ্ছে। সেই প্রত্যয়ন পত্রের মাধ্যমেই জমি রেজিস্ট্রি করতে বাধা নেই।