মফিজুল ইসলাম শৈলকূপা (ঝিনাইদহ)ঃ দীর্ঘ দিন খাল খনন না হওয়ায় বৃষ্টি ও খালের পানি জমে শৈলকূপার ৪বি লের প্রায় ৩শ বিঘা জমি কৃষকের পতিত পড়ে আছে। যার কারনে প্রতিবছর কৃষকদের কয়েক কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকা বাসী সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের দিকে ঝিনা ইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার ধলহরা চন্দ্র গ্রামের ঘাড়ভাঙার বিল, হাঁটুভাঙার বিল,ছোট ছোট ধলহরার বিল ও ধাওড়ার বিলের প্রায় ৪শ বিঘা জমিতে পানি জমে বছরের ৮/ ৯ মাস পতিত পড়ে থাকে। জমি গুলোতে পানি জমে অনা বাদি থাকার কারনে এই ৪ বিলের জমির মালিকরা প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার ফসলাবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালটি জিকে সেচ প্রকল্পের হলেও দেশ স্বাধীনের পর খনন না করায় মাটি পড়ে খালটি ভরাট হয়ে গিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর দাবীর কারনে ১৯৯৪ সালের দিকে তৎকালীন ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বারী মোল্লা এই খালটি পুন রায় খনন করে।
কালটি খনন করায় কয়েক বছর এসববিলে জমির মালিক রা তাদের জমিতে ধান পাট,গম পেঁয়াজ রসুন সহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করছিল।এরই মধ্যে খালটি আবার মাটিতে ভরাট হয়ে পান নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়।খালের জমি গুলো একশ্রেণীর ভূমিদস্যরা খালটি ভরাট করে ফেলেছে।
বর্তমানে এই ৪টি বিলে বছরের সাত-আট মাস পানি জমে থাকে। এসব জমিগুলোতে ফসল আবাদ করতে না পারার কারণে জমির মালিকরা অর্থনৈতিকভাবে চরমভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে ধলহরাচন্দ্র গ্রামের শফি মিয়া জা নান,এই ঘাড়ভাঙার বিলে আমার প্রায় ১৪বিঘা জমি পানি জমে পতিত পড়ে থাকে। কোন ফসলপড়ে আবাদ করতে পারি না।
একই অভিযোগ করলেন ছোট ধলহরা গ্রামের কৃষক ইউসুফ আলী। তিনি দ্রুত খালটি পানি নিষ্কাশনের জন্য খনন করার দাবী করেন।ধাওড়া গ্রামের কৃষক রাজন শিকদার জানান আমাদের অনেক জমি পতিত পড়ে আছে। খালটি খনন করা জরুরী।
পতিত পড়ে থাকা আরেক জমির মালিক সাবেক ইউপি সদ স্য দলিল উদ্দিন জানান আমাদের বিলের সমস্যা সাংবাদিক হিসেবে পত্রিকায় তুলে ধরা হােক।যাতে কর্তৃপক্ষর নজরে আ সে।
আমি ইতিমধ্যে এই ৪ বিলের জমির পানি জমে থাকার কার ণে খালটি খনন করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসি সহ কয়েকটি জায়গায় লিখিতভাবে আবেদন করেছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও সুকর্ণ কুমার জানা ন,খালটি তালিকায় দেওয়া আছে অর্থ বরাদ্দ পেলেই খনন করা হবে।
এ বিষয়ে শৈলক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস জা নান আমি নতুন এসেছি এটা কোন জায়গায় আমি জানিনা আপনার কাছ থেকে শুনলাম তবে এই খালটি খনন করার জন্য আমি অবশ্যই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত কর ব।