সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।।
গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পর রাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নকীপুর কাতখালিতে ৪৩ ভূমি হীন পরিবারের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ৮৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় আদা লতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নকীপুর কাতখালির ভূমিহীন নেতা মোকছেদ আলী গাজীর মেয়ে আসমা বেগম বাদি হয়ে মেহেদী হাসান মারুফসহ ৪৮ জনকে আসামী করে বুধবার সাতক্ষীরার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যু নালে এ মামলা দায়েরকরেন।
ঘরবাড়ি হারিয়ে পালিয়ে থাকার পরও বাদির পিতা ভূমিহীন নেতামোকছেদ গাজী গত ১৭ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটিসংবাদ সম্মেলন করেন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হামলাকারিরা প্রভাব খাটিয়েবাদির পিতা মো কছেদ গাজীকে গত রোববার পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার রিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী এ্যাড. রবিউল ইসলাম (লি টিল) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার সন্ধ্যা য় মামলার নথি শ্যামনগর থানায় পাঠানো হয়েছে।
বিচারক নয়ন কুমার বড়াল মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্যতম আসামীরা হলেন মেহেদী হাসান মারুফের ভাই ইয়াছিন আরাফাত, মারুফের স্ত্রী তানজিলা খাতুন, বাবা সুজাউদ্দিন আহম্মেদ, সুশান্ত চ্যাটার্জী, বিমল চ্যাটার্জী, বিএ নপি নেতা ও ব্যবসায়ি জহুরুল হক আপ্পু।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার নকীপুর কাতখালি গ্রামে ভূমিহীন পল্লীতে ৪১৩/৭৭-৭৮ নং বন্দোবস্ত কেসমূলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়ে চার একর ছয় শতক জ মিতে মুসলিমা খাতুন, শাহানারা খাতুন ও রহমত আলী গাজী বসবাস করে আসছিলো।
একইভাবে ভিপি কেস ৪৪২/৭৭-৭৮ মূলে ১৪টি দাগে আট একর ৩৭ শতক জমির মধ্যে চার একর অর্পিত সম্পত্তিতে বাদিসহ ৪৩টি ভূমিহীন পরিবার বসাবাস করে আসছিলো।
গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর রাত ১০টার দিকে আসামীরা ওই ভূমিহীন পল্লীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট শেষে ৩৩ টি বাড়িতে প্রেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে সন্ত্রাসীরা। আগুনে ওইসব ভূমিহীন পরিবারের ৮৫লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ভাংচুর ও লুটপাটে বাধা দেওয়ায় কমপ ক্ষে ২০ জন র্ভূমিহী নকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। থানায় মামলা কর তে গেলে বা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলে তাদের কে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
যে কারনে কেবলমাত্র ভূমিহীন মাসুদকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কম প্লেক্সে ও অন্যদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
পরে ৩০ আগষ্ট বাদিসহ কয়েকজন ভূমিহীনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।