মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল বিষ দিয়ে ৯টি গরু হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একজন তরুণ উদ্যোক্তার খামারে এক সাথে এতো গুলা গরু মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (৬ মার্চ) রাত ১০ টায় শ্রীমঙ্গল আশি দ্রোন ইউনিয়নের পশ্চিম রামনগর গ্রামে তরুণ উদ্যোক্তা সুলেমান আহমেদ (২৫) এর গরুর খামারে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উদ্যোক্তা সুলেমান আহমদ শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, সোলেমান আহমেদ ২০টি গরু দিয়ে ধামারের ব্যবসা করে শুরু করেছি লেন।
এমন অবস্থায় গত ৪ মার্চ সুলেমান আহমেদের প্রতিবেশী একই গ্রামের মৃত আমরু মিয়ার ছেলে মো. রমজান মিয়ার একটি পালি ত ছাগল সুলেমা নের ফসলি জমির ধান খেয়ে ফেলে। এ ঘটনায় সুলেমান ছাগলটিকে ধরে খোয়াড়ে দেন।
ফলে রমজান মিয়া ও তার ছেলে মনির সুলেমানের ওপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দেয়।
গত বুধবাররাত ১০ টায় সুলেমান তার ২০ টি গরুকে খাবার খাইয়ে দিয়ে আসেন।
পরদিন বৃহষ্পতিবার সকাল ৬ টায় তিনি খামারের দরজা খুলে দেখতে পান দুটি গরু মরা পড়ে রয়েছে। তিনি সাথে সাথে পশু ডাক্তার রাজুকে খবর দেন। ডাক্তার এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, গরু গুলোকে বিষখায়ানো হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শে তিনি দুটি গরুকে মাটি পুতে দেন।
পরে ডাক্তার অন্যান্য গরু গুলোকে প্রতিশেদক দেন কিন্তু এ প্রতি বেদন লেখাপর্যন্ত ৯ টি গরু মারা যায় বলে খামার মালিক সুলেমান আহমদ জানান। তিনি এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় রম জান মিয়া ও তার ছেলেকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সুলেমান আহ মদ বলেন, তিনি তার আত্মীয়স্বজন থেকে হাওলাত নিয়ে ও নিজ মূলধন দিয়ে এ খামার গড়ে তুলেন।
তার দৃঢ় বিশ্বাস রমজান মিয়া তুচ্ছ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তার বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতিসাধন করে ছে। পূর্ব থেকে রমজান মিয়ার সাথে তার বিরোধ চলে আসছে বলে তিনি জানান।
এ ঘটনার তিনি ন্যায় বিচার চান। এ নিষ্ঠুর ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা রসৃষ্টি হয়েছে। যেকোন সময় এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সার্জন ডা. সাবিনা ইয়াসমিন জানান, খবর পেয়ে আমরা সুলেমানের খামাওর যাই, এ পর্যন্তন নয়টি গরু মারা গেছে। ময়নাতদন্তের সকল আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাদের ধার না বিষক্রিয়ার কারণে গরু গুলো মারা যেতে পারে। এ ব্যাপাওে রমজান মিয়ার মোবাইল ফোনের নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। যথা যথ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।