সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানি হাইকোর্ট আগামী অক্টোবর মাসে নির্ধারণ করেছেন। রোববার (১৭ আগস্ট) খায়রুল হকের আইনজীবীদের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় খায়রুল হকের জামিন আবেদন ওঠে। এর আগে ১১ আগস্ট এ মামলার শুনানিতে আওয়ামীপন্থি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে, যা এজলাসকক্ষ পর্যন্ত গড়ায়।
ঘটনার পর আদালত ১৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে খায়রুল হকের পক্ষে শুনানি করতে আদালতে উপস্থিত হন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, কামরুল হক সিদ্দিকী, জেড আই খান পান্না, মোহসীন রশিদ, মোতাহার হোসেন সাজু, সৈয়দ মামুন মাহবুবসহ কয়েকজন আওয়ামীপন্থি আইনজীবী। এজলাসে তখন থেকেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অবস্থান করছিলেন।
শুনানি শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ আদালতকে জানান, অ্যাটর্নি জেনারেল এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। এর জবাবে খায়রুল হকের পক্ষে আইনজীবী মোহসীন রশিদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে এভাবে নির্দেশনা দিতে পারে না। এ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং হট্টগোলের পাশাপাশি ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা খায়রুল হকের পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, “সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে যখন দেশছাড়া করা হলো তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? আজ খায়রুল হকের মতো গণতন্ত্র ধ্বংসকারীর জামিন চাইতে এসেছেন।”
আদালত বারবার আইনজীবীদের শান্ত হতে অনুরোধ করলেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত আদালত শুনানি পিছিয়ে দেন এবং বিষয়টি অবকাশকালীন ছুটি শেষে অক্টোবর মাসে তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
Bartabd24.com সব খবর সবার আগে