মোঃ হাবিব ওসমান, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিবেদক ॥ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) এলাকায় সর কারের উন্নয়নের চিত্র তুলে না ধরে প্রতিহিংসাই ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন আওয়ামীলীগের কিছু প্রবীণ নেতা ও তাদের অনুসারিরা।
আওয়ামীলীগ সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে সভা সমাবেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ও স্থানীয় সাংসদকে নিয়ে বিষো দাগার করতে নিষেধ করেছে।
এখনও ঝিনাইদ-৪ আসনের কিছু প্রবীন নেতা মনোনয়ন পাওয়ার লোভে সরকারসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়া রুল আজিম আনারের বিষোদাগার করে চলেছেন। এজন্য তারা সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম ফেসবুক, পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রতিহিংসার বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি দেশের প্রথম সারির একটি টেলিভিশনে তারাউন্নয়ন হয়নি উল্লেখ করে বক্তব্য দেন। ওই সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। টেলিভিশনের ওই সংবাদে দুইজন প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা এবং একজন মাদক ব্যবসায়ী ও একজন দেহ ব্যবসায়ীর বক্তব্য দিয়ে কালীগঞ্জে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা বলছেন, এসব সিজেনাল নেতারা নির্বাচন সামনে রেখে জেগে উঠেন। তারা দলীয় স্বার্থ উপেক্ষা করে নিজের স্বার্থে সভা সমাবেশ করে বক্তব্য দেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারো একাধিক নেতা মাঠে নেমেছে। তারা সরকারের উন্নয়ন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিষোদাগার করে বক্তব্য দিচ্ছেন।
এধরনের সুযোগ সন্ধানী নেতাদের প্রতিহত করতে হবে। না হলে সরকারের উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে।
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, নির্বাচন সামনে আসলে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু হয়। বছরের পর বছর তাদের কোন খোঁজ থাকে না,নির্বাচন এলেই বড় বড় সাইন বোর্ড টানিয়ে ভাড়াটে লোকজন নিয়ে
শোডাউন সভা সমাবেশ করে বক্তব্য দেন। মাননীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার শেখ হাসিনার নির্দেশে অভাবনীয় উন্নয়ন করেছেন, যা ঝিনাইদহ-৪ নির্বাচনী এলা কার মানুষ জানেন।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন বড় বড় প্রবীন নেতা থাকতে মাদক ব্যবসায়ী আর তেল চোরের বউ এর বক্তব্য প্রচার করে হতাশ করেছে। টেলিভিশনটি খুঁজে খুঁজে দুটি রাস্তার দুই স্থানের সামন্য ভাঙ্গা ফুটেজ নিয়ে সরকারের উন্নয়ন ম্লান করে দিলেন যা মেনে নেওয়া যায় না।
কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু জানান, প্রায় ৫০ বছর ধরে আওয়ামীলীগেররাজনীতির সাথে জড়িত। আমরা লক্ষ্য করছি কিছু ব্যক্তি ভোট সামনে এসে নিজেকে জাহির করতে সত্য মিথ্যা মিলিয়ে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে।
এতে দল বা সরকারের কি হলো তা তাদের যায় আসে না। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় সম্প্রতি ৭১ টিভিতে নির্বাচনী একটি সংবাদে মাদক ব্যবসায়ী ও নিহত তেল চোরের বউ সরকারের উন্নয়ন নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে তাতে আমরা ক্ষুদ্ধ।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার জানান, কালীগঞ্জে অনেক প্রবীন নেতা আছেন যারা নিজের ইউনিয়ন ঘুরে দেখেননা ঘরের বাইরে নাগেলে তারা উন্নয়ন দেখবেন কেমনে? তাদের কাজই বিষোদাগার করা।
ঝিনাইদহ- ৪ নির্বাচনী এলাকাবাসি জানে বিগতদিনে এলা কার রাস্তাঘাটের অবস্থা কিছিলো আর এখন কি হয়েছে। ৪০টির উপরে ব্রীজ হয়েছে, গ্রামে অগনিত রাস্তা হয়েছে।
মননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব গুরুত্ব দিয়েছেন গ্রামের মানুষ যেনো
পানির কষ্ট না পায়। সুস্ক মৌসুমে পানির লেয়ার অনেক নিচে চলে যায় সে জন্য গ্রামের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টা নে যে সমস্ত পুকুর ছিলো সেগুলোতে খনন করে সিঁড়িঘাট করে দেওয়া হয়েছে যাতে মানুষের পানির কষ্ট না হয় সাথে
মাছ চাষ করে বেকার যুবকেরা স্বলম্বি হতে পারে।
খাল খনন করা হয়েছে। প্রাইমারি,মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রসা অধুনিক ভবন শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম, হর্টিকালচার
সেন্টার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্্রসহ অসংখ্য আধুনিক ভবন তৈরি করা হেয়েছে।
যাতায়াতের ক্ষেত্রে মেবারকগঞ্জ রেলষ্টেশন যেটি চলাচলের অনুপযোগী হয়েছিলো সেটি সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যূৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার মধ্যে একটি মাত্র রাস্তা খারাপ রয়েছে যেটি ঠিকাদারকে বলা হয়েছে তারা মেরামত করে দিবে বৃষ্টির কারনে রাস্তাটি মেরামত করতে পারছেনা।
ঝিনাইদহ-৪ নির্বাচনি এলাকার মানুষ সরকারের উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। বর্তমান সরকারের আমলে তারা যে সুখে আছে তা গ্রামের মানুষের সাথে কথা বল্লেই বোঝা যাবে। আমার নির্বাচনী এলাকায় রাস্তা হয়নি এমন গ্রাম নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা করেছেন গ্রাম হবে শহর। আজ দেখেন সরকারের প্রচেষ্টায় গ্রাম শহরে রুপ নিয়েছে।
এমন সময় এক সাংবাদিক ভাই একজন মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বক্তব্য নিয়ে সরকারের উন্নয়নকে কিভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ করলেন তা আমার জানা নেই।