মোঃ শাহানুর আলম, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ১০৬ নম্বর কাছারী তোলা সর কারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি এবছরের জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এখনো পর্যন্ত জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে।বিদ্যালয়ের মাঠের পানিতে চরে বেড়াচ্ছে হাঁস আবার কেউ বা গরুর গোসল করাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকের দাবি উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানিয়েও মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন ব্যবস্থা করতে পারেননি।
১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে ১৯৯৬ সালে একটি ভবন নির্মিত হয়।
এই ভবনে একটি অফিস কক্ষ ও ৩টি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। ৩৩ শত ক জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ৮৭জন
শিক্ষার্থী রয়েছে।বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ৬ জন তার মধ্যে নারী ৪জন। গতবছর বিদ্যালয়ে একটি ওয়াশ ব্লকের কাজ শুরু হলেও অর্ধেক করে ফে লে রেখে গাঢাকা দিয়েছে ঠিকাদার।
বিদ্যালয়টিতে কোন সীমানা প্রাচীর নেই। তবে বিদ্যালয়টিতে ব র্তমানে সবচেয়ে বড় সংকট জলাবদ্ধতা। বর্ষার শুরু থেকেই বি দ্যালয়ের মাঠটি জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। আগস্টের শুরুর দিকে বিদ্যালয়ের ভবনের বারান্দা পর্যন্ত পানির নিচে চলে যায়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নুসরাত জাহান বলেন, আগস্ট মা সের শুরুর দিকে আমরা হাটু পানি ডিঙিয়ে বিদ্যালয়ে এসেছি।
এখনতো পানি কমে গেছে। শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়েরা কোলে করে স্কুলে দিয়ে গেছে ও নিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সরোজমিনে বিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে রাজহাস চরে বেড়াচ্ছে। মাঠের জমে থাকা পানি তে গরু গোসল করাচ্ছেন স্কুলের পাশে বসবাস করা এক বৃদ্ধ। বি দ্যালয় ভবনের বারান্দার গেটটি তালাবদ্ধ করে ভিতরে পাঠদান করছেন শিক্ষকরা।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা থেকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন নজ রুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এই উপজেলার মধ্যে এই বিদ্যালয়টি সবচেয়ে অব হেলিত। উপজেলা শিক্ষা অফিসের গত মাসিক মিটিং য়েও বিদ্যা লয়ের মাঠে পানি বেধে থাকার বিষয়টি অবহিত করেছি। সরোজ মিনে শিক্ষা অফিসারেরা দেখে গেছেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা হয়নি। প্রতিষ্ঠার পরে ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়ে একটি বিল্ডিং পেয়েছি।
পর্যাপ্ত রুম না থাকায় তিনটি ক্লাসরুমেই কষ্ট করে ক্লাস নিতে হয়। গতবছর একটি ওয়াশব্লকের কাজ শুরু করলেও অর্ধে ক করে ফে লে রেখে চলে গেছে ঠিকাদার।
বর্ষার শুরু থেকেই আমরা খুব শংসয়ের মধ্যে রয়েছি। কখন কোন বাচ্চা পানিতে ডুবে যায়।
আগে ১৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে ৮৭ জন শি ক্ষার্থী রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে বাচ্চাদের খেলাধুলা করার জায়গা নেই সবসময় শ্রেণি কক্ষে আটকিয়ে রাখতে হয়। তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত মাঠ ভরাট ও প্রাচীর নির্মাণের দাবি জানানতারা।
বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জীবন। সে জানায় গত মাসে স্কুলে আসার সময় বই-খাতা নিয়ে সে একদিন পানির মধ্যে পড়ে গেছিল। অন্যান্য শিক্ষার্থীর মাধ্যমে শিক্ষকরা খবর পেয়ে তাকে পানি থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
তার বই-খাতা পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের মাঠের পা শে অবস্থিত ছাত্তার স্টোরের মালিক রায়হান মাহমুদ জানান, ব র্ষার শুরু থেকেই বিদ্যালয়ের মাঠে পানি বেধে রয়েছে। এখনতো আস্তে আস্তে কমছে।
মাঠটি ভরাট করা হলে ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে স্কুলে এসে ঘুরে বেড়াতে পারবে। অন্যান্য স্কুল দুইতলা হয়ে গেলেও কেন এই স্কু লের কোন উন্নয়ন হলোনা তা বুঝতে পারিনা।
হরিণাকু-ু উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস. এম. আব্দুর রহমানের ফোন নাম্বারেএকাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর সা হা বলেন এই বিষয়ে তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে খোজ-খবর নিয়েছেন স্কুলের সামনে একটি ডোবারমত সেখানে উপজেলা প্রশা সনের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
হরিণাকু-ু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম তারিক-উজ-জামান বলেন, এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে খোজ খবর নিয়েছি, এটা সাময়িক জলাবদ্ধতা নয়, এটা একটি স্থায়ী সমস্যা কারণ স্কুলের সামনে একটি বড় গর্ত যা ভরাট করতে আ লাদা বরাদ্দের প্রয়োজন, সেই বরাদ্দের চেষ্টা কর হচ্ছে যদি পা ওয়া যায় তাহলে সমাধান করা সম্ভব হবে। তাছাড়া স্থানীয় চে য়ারম্যানকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।
Bartabd24.com সব খবর সবার আগে