মফিজুল ইসলাম শৈলকূপা (ঝিনাইদহ)
 ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার উপজেলার হাটফাজিলপুর-নিত্যানন্দপুর পাকা রাস্তার  মাঝে জিকে খালের ব্রীজের পাটাতন ১২ বছর আগে ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হলেও নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
দুর্ভোগ বাড়তে বাড়তে চরমে পৌঁছেছে। তবু টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।
প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ। বর্তমানে ব্রীজটি লতাপাতায় ভরে গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার হাটফা জিলপুর বাজারের কাছে জিকে (গঙ্গা-কপোতাক্ষ) সেচ প্রকল্পের আলমডাঙ্গা মেইন খালের ওপর এই ব্রীজটি  অবস্থিত।
কুমিরাদহ গ্রামের ইসলাম আলী জোয়ার্দ্দার জানান, ৩টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৫ গ্রামের মানুষ এই পাকা রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করে।
যার মধ্যে চন্দ্রজানি, শিতারামপুর, পরানপুর, বাকড়ী,পানামী, কাকুড়িয়াডাঙ্গা, ভবানীপুর, সমেশপুর, ফাজিলপুর উল্লেখ যোগ্য। এই সড়কের পাশে হাটফাজিলপুর ও ভবানীপুর এলা কায় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
পাঁচপাখিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রায় ৫০ বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য গোলকনগর নামক স্থানে জিকে সেচ খালের ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণ করে। ২০১১ সালের দিকে ব্রীজটির পাটাতন ভেঙে পড়ে। বর্তমানে ১২ ফুট পাটাতনের প্রায় সবটুকু ভেঙে গেছে।
ব্রীজের পাশের মুদি দোকানদার আকাশ হোসেন জানান, মাঝে মধ্যেই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। কেউ পড়ে গেলেই ছুটে গিয়ে উদ্ধার করতে হয়। কিছু দিন আগে খালের মধ্যে পড়ে রোজদার আলী নামের একজন মারাও গেছেন। পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আরো বেশ কয়েকজন।
এ ব্যাপারে আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস জানায়, জনগুরুত্বপূর্ণ এই খালের উপর ব্রীজটি দীর্ঘদিন ভাঙ্গা অবস্থায় থাকায় জনগণের চলাচলের চরম অসুবিধা হচ্ছে। ব্রীজটি নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ ক্ষকে অনেকবার অবগত করেছি। কেন যে ব্রীজটি নির্মাণ হচ্ছে না এটা আমার বোধগম্য নয়।
বর্তমানে ব্রীজটি লতা পাতায় ভরে গেছে। তবে ব্রীজটি শিগগিরই নির্মাণ করা হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম রাশেদুল হাসান জানান, এই ব্রীজ টি ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি ব্রীজ মেরামত করা প্রয়োজন।
কিন্তু বাজেট না থাকায় করতে পারছি না। বরাদ্দ আসলে এসব ব্রীজ গুলো নির্মাণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *