আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘিতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমিনুর রহমানকে হত্যা ঘটনার ২০ দিন পর মামলার দুই নম্বর আসামী তহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

জমি সংকান্ত বিরোধ সমাধান করে দেওয়ার নামে নেয়া চাঁদার দুই লাখ টাকার বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে ২২ মার্চ রাতে শাহিন-তহিদুলের সালিশে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। জানাযায়, উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মসজিদ কমিটি, গভীর নলকুপ পরিচালনা ও সামাজিকসহ নানা বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে দু’টি গ্রুপ রয়েছে। হত্যাকান্ড ঘটনার দিন পর্যন্ত নেতৃত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন-তহিদুল গ্রুপ।

তারা পলাতক থাকার সুযোগে ফের গ্রাম শাসনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেদ্দা বাহিনীর প্রধান আব্দুল কাদের সেদ্দা। হত্যাকান্ডের শিকার আমিনুর রহমান নিজ গ্রপের (শাহিন-তহিদুল) হলেও সে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হওয়ার কারনে তার হত্যা নিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনী ছিল প্রচন্ড চাপে। ঘটনার পরই এজাহার নামীয় তিন আসামী গ্রেপ্তার করলেও মামলার প্রধান দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় চাপ মুক্ত হতে পারছিল না পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনী।

এমন অবস্থায় র‌্যাব-১১/১২ যৌথ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মাধবদী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার আসামী তহিদুলকে আদমদীঘি থানায় হস্তন্তর করা হয়েছে। খবর পেয়ে থানায় ছুটে আসেন নিহত আমিনুরের স্ত্রী রুকসানা বেগম খুব্ধ রুকসানা চড়াও হয় আসামী তহিদুলের উপড়। শুরু করে এলোপাতারি চড় থাপ্পড়। তাৎক্ষনিক পুলিশী হস্তক্ষপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।

এই আলোচিত লক্ষীপুর গ্রামের আমিনুর ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত নশরতপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন হোসেন এবং সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য তৌহিদুল ইসলামকে সাময়ীক বহিস্কার করেছে নশরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।

সেই সাথে কেন তাদের স্থায়ী বহিস্কার করা হবে না তার কারন জানাতে ১৫ দিনের সময় দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নশরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক আজাদ।

জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে তাদের লক্ষীপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও চাঁদাবাজীসহ নানা অপকর্ম করার অভিযোগ রয়েছে।

সর্বশেষ ২২ মার্চ ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেমের ছেলে আমিরুল ইসলামকে সালিশে ডেকে আনে শাহিন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমিরুল তার গ্রুপ প্রধান শাহিন-তহিদুলের সাথে চাঁদার দুই লাখ টাকার বাটোয়ারা নিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে তাকে নির্মম ভাবে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *