চারঘাট(রাজশাহী) প্রতিনিধি:
বর্তমান আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধান মন্ত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু করেন।
আইসিটি সেক্টর উন্নয়নের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের যাত্রায় বড় ভূমিকা রেখেছে।
রোববার দুপুরের দিকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আইসিটিতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের জন্য আয়োজিত স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা-২০২৩ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসা কথা বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার আয়োজন সম্ভাবনার নবদিগন্ত উন্মোচন করবে উল্লেখ করে উপস্থিত প্রতিমন্ত্রীরা বলেন, শুধু চাকুরীর পেছনে না দৌড়ে দক্ষ মানবসম্পদে নিজেদের পরিনত করতে হবে।
আজকের  এই মেলায় ২৩ টি ষ্টল রয়েছে। যাদের মুল চাওয়ায় হচ্ছে চারঘাট-বাঘার বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মস্ংস্থান তৈরী করা।
যারা এই মেলায় চাকুরী পাবেন না, তাদেরও বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং কাজের সুয়োগ তৈরী করে দেয়া। বাংলাদেশের অনেকেই আজ আইসিটির মাধ্যমে প্রশিক্ষন নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের আজকের উন্নয়নের পেছনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র আইসিটি।
আইসিটি ক্ষেত্রে নিরব বিপ্লব ঘটেছে। বর্তমানে এই খাত থেকে বাংলাদেশের আয় ১.৫ বিলিয়ন। এর পেছনের কারিগর সজীব ওয়াজেদ জয়।
আমাদের লক্ষ্য আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সজীব ওয়াজেদ জয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে তিনি দেশকে উন্নত ও স্মার্ট এবং জনগণকে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, চারঘাট উপজেলা
আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফকরুল ইসলাম, পৌর মেয়র একরামুল হক, চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন, বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বাবুল হোসেন প্রমুখ। সব শেষে ২০ জন স্মার্ট নারীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *