শাহীন সোহেল (যশোর) চৌগাছা প্রতিনিধি!! যশোরের চৌগাছা উপজেলা এবং ঝিনাইদাহের উপজেলা কালিগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর। মিলিত তিনটি উপজেলার শেষ সীমানা।
উল্লেখ্য যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরুপপুর, শিশুতলা চাকলা কোমরপুর এবং ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের বলাবাড়িয়া, এলাঙ্গী। কালিগঞ্জ উপজেলার ধলা দাদপুর বালিয়াডাঙ্গা প্রায় ১০ গ্রাম মিলিত মধ্যবর্তী স্থানে বেশ কয়েকটি মাঠে নষ্ট হয়েছে ইরি ধানসহ বিভিন্ন আবাদি ফসল হতাশ কৃষকেরা।
২৪ এপ্রিল (সোমবার) আনুমানিক দুপুর ২ঃ৩০ মিনিটে, ফাগুন চৈত্র এবং বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যন্ত খরা এবং প্রচন্ড রোদ্র তাপের পর চারিদিকের আকাশে কালো মেঘ এবং শান্তির বাতাস শুরু হলেও পরক্ষণে কালবৈশাখী ঝড়ে রূপ নেই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। পাঁচ মিনিটের শিলাবৃষ্টি এবং কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে নষ্ট হয় প্রায় দুই হাজার বিঘা কৃষকের স্বপ্নের ফসল সোনালী বর্ণের পাকা ইরি ধান ও বিভিন্ন আবাদি ফসলসহ হাজার হাজার বিঘার ঝরেছে আম।
কৃষকেরা বলেন, এক বিঘা ইরি ধান করতে আমাদের খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আমাদের সব শেষ হয়ে গেল ধান কাটার মুখে এসে এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে আমাদের আমরা কখনো ভাবিনি। আমরা গায়ে খেটে, পেটে খেয়ে না খেয়ে যতটুক ধান করেছিলাম তাও নষ্ট হয়ে গেল এ বছর আমাদের কিনে খেতে হবে। শিল পড়ে শীষ থেকে ধানগুলো ঝরে পানির নিচে চলে গিয়েছে এই ধানগুলো আর কুড়োনো সম্ভব হবে না। পানি শুকাতে শুকাতে ধানগুলো কলিয়ে গাছ হয়ে যাবে।
কৃষক রিপন হোসেন বলেন, ফসল বলতে পৃথিবীতে আমার আর কোন কিছুই নেই। দুটো আম বাগান তিন বিঘা হাল কলা একবিঘা দোকাটি কলা, ভুট্টা পঁচিশ কাটা, করলা উস্তে এক বিঘা। সমস্ত ফসল এখন মাটির সাথে মিশে আছে। আল্লাহ আমাকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন।
ডিপ টিউবওয়েল ও কৃষক বকুল বিশ্বাস বলেন, আমার মোটরের পাশে ধানের শীষে কোন ধান নেই শিলা বৃষ্টি পড়ে সব ধান ঝরে গিয়েছে, এখন মাত্র সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে  মাত্র নাড়া, যাহা কাঁটলে বিঘা প্রতি ৫ মন করে ধানও পাওয়া যাবে না। যেখানে আমার নিজেরই ১৫ বিঘা ধান সেখানে হয় তো পাওয়া যাবে মন ৫০ মত।
কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙেছে গাছ গাছালি ও উড়েছে ঘরবাড়ির, নষ্ট হয়েছে ফসল খেতসহ গ্রাম ও মাঠের বেশিরভাগ অংশই পড়েছে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কবলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *