চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি ॥ যশোরের চৌগাছায় প্রায় তিন দিন পর নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষ থেকে হাশেম গাজী (৬৫) নামের এক ব্যক্তির মরাদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি উপজেলার ধুলিয়ানী বাজারপাড়ার মৃত তোরাব আলী গাজীর ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মরাদেহ উদ্ধারের পর ওই দিন বাদ আসর নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

চৌগাছা থানা ও নিহতের স্বজনরা জানান, হাশেম আলী গাজী ব্রেন স্টোকে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ্য ছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় ওই বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের ছোট মেয়ে ঘরের মধ্যে পিতার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে মরাদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি থানা পুলিশকে খবর দেন।

নিহত হাশেম আলী গাজীর বড় ছেলে হাসান আলী ও ছোট ছেলে শাহা পরান জানান, তারা চার ভাই ও দুই বোন। বড় ভাই হাসান আলীসহ তিন ভাই ঢাকাতে চাকরী করেন। বড় বোন নাজমা খাতুন বিবাহ সূত্রে ময়মনসিংহ জেলায় থাকেন। বাড়িতে পিতা হাশেম গাজী, মা কল্পনা বেগম, ছোট ভাই শাহপরান ও ছোট বোনটি থাকেন।

গত মঙ্গলবার (২ মে) মা ও ছোট ভাই বোন পাশের গ্রাম মশ্মমপুর (ঢেঁকিপোতা) গ্রামে নানি বাড়িতে বোরো ধান কেটে মাড়াই করে বাড়িতে আনতে যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে পিতার সাথে তার মায়ের ফোনে কথা হয়।

এরপর কর্মব্যস্থতায় আর ফোন দেয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছোট বোন নানা বাড়ি হতে নিজেদের বাড়িতে এসে ঘরে খাটের উপর পিতার মরাদেহ েেদখতে পায়। ধারনা করা হচ্ছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোন এক সময় তিনি মারা যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহতের স্বজনরা বাড়িতে ছুটে যান। এ সময় সকলে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়।

ধুলিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মমিনুর রহমান জানান, ইতোপূর্বে তিনি দু’বার স্ট্রোক করেছেন। শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ্য ছিলেন। ওনার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ধান গোছানোর কাজে বাপের বাড়ি মশ্মমপুর গ্রামে যায়। পরিবারের কারো কোন অভিযোগ না থাকায় মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
চৌগাছা থানা পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি একের অধিক ব্রেন স্টোক করেছেন। সর্বশেষ ঈদুল ফিতরের কিছু দিন আগেও স্টোকে আক্রন্ত হন।

ঢাকায় বড় ছেলে হাসান আলীর কাছে থেকে চিকিৎসা নিয়ে ঈদের আগের দিন বাড়িতে আসেন। ব্রেন স্টোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। পরিবারের কারও কোন অভিযোগ না থাকায় মরাদেহ দাফনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *