ডেস্ক নিউজ:জাপানে যাবে দেশের আলু। বাংলাদেশ উৎপাদিত ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আমদানিতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপানের একটি কোম্পানি। নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানিকৃত ভ্যালেন্সিয়া জাতটি দেশে এসিআই কোম্পানি প্রচলন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাপান সফররত কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে টোকিওতে ওয়েস্টইন হোটেলে সাক্ষাৎ করেন জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা। এ সময় জাপানি কোম্পানির কর্মকর্তা এ আগ্রহের কথা জানান। এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফ এইচ আনসারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, দেশে বছরে ১ কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হয়। চাহিদা রয়েছে ৬০-৭০ লাখ টন। দেশে বর্তমানে যেসব জাতের আলু উৎপাদিত হচ্ছে, তার চাহিদা বিদেশে অনেক কম। সেজন্য রপ্তানিযোগ্য ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর জাত সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারিভাবে বিএডিসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে অনেক উন্নত জাত আনা হয়েছে, সেগুলো কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ চলমান।

পাশাপাশি, আলুকে আমরা অনিয়ন্ত্রিত ফসল বা ডিনোটিফায়েড ঘোষণা করেছিলাম যাতে বেসরকারিভাবে উন্নত জাত আনা সহজ হয়। এ ঘোষণার পর থেকে বেসরকারিভাবেও আলুর অনেক উন্নত জাত দেশে এসেছে, নিবন্ধিত হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রপ্তানিযোগ্য এসব আলুর জাত চাষের ফলে আলু রপ্তানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলুর নমুনা নিয়ে জাপানের ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করা হয়েছে বলে জানান জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা সেইয়া কাদৌ। তিনি কৃষিমন্ত্রীকে জানান, এ জাতের আলু মানসম্পন্ন ও সুস্বাদু।

উল্লেখ্য, আলুকে অনিয়ন্ত্রিত ফসল ঘোষণা বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এরই প্রেক্ষাপটে এসিআই সিড ২০২০ সালে এসিআই আলু-১০ (ভ্যালেন্সিয়া) নামক আলুর বীজ নিবন্ধন পায়, যা নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানি করা। জাতটিতে প্রায় ২১% ড্রাই মেটার আছে বিধায় এটি শিল্পে ব্যবহার উপযোগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *