রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ ঠাকুরগাঁও জেলায় ৫  হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে আম বাগান  রয়েছে । এ মধ্যে  রাণীশংকৈল উপজেলার আমের ব্যাপক ফলন হওয়ায় খুশি আমচাষীরা। সরেজমিন শুক্রবার সকালে  রানীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন বাগান ঘুরে বাগানীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। থোকা থোকা আম যেনো গাছে গাছে শোভা বর্ধন দিচ্ছে। ‘অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন তুলনামূলক বেশি। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগাম পাকা আমে রানীশংকৈল উপজেলার ফল দোকান গুলো সয়লাব। ভেনে ফেরি করে চড়া দামও বিক্রি হচ্ছে আম। কেজি প্রতি ৭০ থেকে ১০০ টাকা দরে।
এমন পরিস্থিতিতে এলাকার আম ব্যবসায়ীরা বেশ চিন্তিত। এর পর বুকের পকেট থেকে খাতা বের করে আম ব্যবসায়ী এনামুল বলেন, এবছর লাভ কিন্তু হবেই।’ গত মৌসুমে শিলাবৃষ্টিতে আমের বেশ ক্ষতি হলেও এ বছর আবহাওয়া ভাল। এ বার তাপদ্রোহে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় প্রচুর আমের ফলন হয়েছে এ উপজেলায়।
রানীশংকৈল উপজেলায় শতশত বাগান জুঁড়ে আমের ফলন ভাল হওয়ায় হিসেবের খাতায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন বাগান ব্যবসায়ি ও মালিকরা। রানীশংকৈল  উপজেলায় আম্রপালি,সূর্যপুরী, বান্দিগাড়ি, হিমসাগর, লেংড়া, রুপালি, গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আম বাগান চোখে পড়ার মতো।
এদিকে রানীশংকৈল উপজেলায় গত বছরের চেয়ে আমারে ফলন বেশি বলে এক বাগান ব্যবসায়ি জামিল সরকার জানান, তিনি এ বছর ৭০ থেকে ৮০ বিঘা বিভিন্ন জাতের আম বাগান কিনে এ বছর ব্যবসায় অর্ধ কোটি টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন। বাগান ব্যবসায়ি এনামুল হক জানান, এবছর প্রচুর আমের ফলন হয়েছে।
তিনি আরো জানান রানীশংকৈল উপজেলার ‘নেকমরদ ,কুমোরগঞ্জ, করনাইট, বলিদ্বারা সহ এ এলাকায় শতশত বিঘা বিভিন্ন আমের জাতের আম বাগান রয়েছে।সব বাগানেইএ বছর ফলন অনেক বেশি’ রানীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ জানান, রানীশংকৈল উপজেলায় প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে।
এবছর আমে ফলন ভাল হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসসূত্রে জানা গেছে ঠাকুরগাঁও জেলার ৫ টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ৮৪৪টি আম বাগান রয়েছে। যার আয়তন প্রায় ৩ হাজার ২৩৬ হেক্টর।
এছাড়া বসতবাড়ি সহ ৫ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে আম গাছ আছে।এসব গাছ থেকে ঠাকুরগাঁও জেলায় মোট আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৯ হাজার ১৮৫ টন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *