রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ বাংলাদেশ আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, ঠাকুরগাঁও অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় জায়গা।

এখানকার মানুষ সবাই ঐক্যব্যদ্ধ থেকে আ’লীগকে ভালোবাসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আমরা যেভাবে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি তা দৃষ্টান্ত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আপনাদের সরকার। জনগনের সরকার। আমরা কিন্তু নেতা নই; আমরা কর্মী।

আমরা সেবক। সেবক হিসেবে কাজ করছি। আমরা পাহারাদার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আপনারা সেবক হিসেবে থাকবেন। সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় যাবেন।

তিনি মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম বিডি হলে জেলা শ্রমিক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা সবাইকে বুঝাবেন আমরা যাহা করেছি বঙ্গবন্ধুর যে সমস্ত ওয়াদা ছিল, সে সমস্ত ওয়াদাগুলো এক এক করে পূরণ করে যাচ্ছি। আজ যেমন ঢাকায় উন্নয়ন হচ্ছে, তেমন উন্নয়ন হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে।

এখানকার উন্নয়ন বাকী নেই। শুধু কানেকটিং রোড বাকী আছে। বিদ্যুৎ পেয়েছেন, চিকিৎসা পাচ্ছেন, হাসপাতালে আজ ২৫০ শর্য্যায় উন্নীত হয়েছে। কিছুদিন পরেবিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে যাবেন, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হয়ে গেছে।

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সকল উন্নয়ন পেয়েছি। এই উন্নয়নকে ধরে রাখতে হবে। সামনে নির্বাচন। কি পেয়েছি, কি পাইনি সেটা দেখার সময় নেই। তবে বোঝা যায় সবাই পেয়েছি। যেভাকে হোক জনগনের সেবা করেছি। যদিও এখানে বিএনপির সেক্রেটারী মির্জা ফখরুল ইসলামের বাড়ি।

বাড়ি এখানে না বাড়ি পঞ্চগড়ে, এখানে তারা বাস করছে। যদিও এখানে বাস করছেন, কিন্তু তাদের এই দায়িত্বের যে পরিসংখ্যান, উন্নয়নের পরিসংখ্যান দেখা যায়; তারা ৫ বছর দেশ চালিয়েছিল তখন কিছুই করতে পারেনি। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ৫ বছর আগে ও পরে ১৫ বছর এই ২০ বছরে দেশটাকে পাল্টে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন পরে শ্রমিকলীগের সম্মেলন হতে চলেছে। যেহেতু জেলা আ’লীগের সাথে শ্রমিক লীগ কাজ করে চলেছেন। সেহেতু আমরাও আপনাদের সাথে আছি।

সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ঠাকুরগাঁও বাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। যদি রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ না হতো তাহলে আমাদের ইচ্ছা ছিল ২০৩১ সালের মধ্যে দেশটাকে উন্নত দেশে পরিনত করবো। কিন্তু দুর্ভাগ্য যুদ্ধের কারনে বিশ্বের মন্দার কারনে সমস্যায় পরতে হয়েছে। বিশ্ব মন্দার কারনে টাকার দাম কমেছে।

তবে আমরা আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেন প্রত্যেকের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকে। যে সমস্ত মানুষের ঘর বাড়ি নেই, তাদের আশ্রায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর বাড়ি দেওয়া হয়েছে। যে সকল শ্রমিক ভাইয়েরা বাড়ি ঘর নিয়ে সমস্যায় আছেন, অচিরেই বাড়ি ঘর পেয়ে যাবেন।

সামনে আমাদের জাতীয় নির্বাচন, এই নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে আসছি।

আমাদের দলের মধ্যে কোন কৌন্দল নেই। ফলে ঠাকুরগাঁও জেলায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সংগঠন চলছে। আমরা পরস্পর পরস্পরের সাথে মিলেমিশে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।

সম্মেলনে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো: খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহ: সাদেক কুরাইশী, বিশেষ বক্তা কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের প্রচার ও প্রাকশনা সম্পাদক মো: মেহেদী হাসান, অর্থ সম্পাদক মো: মহিউদ্দীন, ট্রেড ইউনিয়ন সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মো: ফিরোজ হাসান, ঠাকুরগাঁও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সহ সভাপতি মাহাবুবুর রহমান খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসম গোলাম ফারুক রুবেল, এ্যাড. মোস্তাক আলম টুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জুলফিকার আলী ভুট্টো, ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজু রহমান রিপন, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজিরা আক্তার স্বপ্না, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মো: খায়রুল ইসলামকে সভাপতি ও মো: আনোয়ারুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা শ্রমিক লীগের নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়। পরবর্তিতে ১ মাসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করা হয় সম্মেলনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *