ডেস্ক নিউজ:রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বঙ্গভবনের মর্যাদা ও সম্মান সমুন্নত রাখতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বঙ্গভবনের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে সোমবার (১৭ এপ্রিল) ইফতারের পূর্বে আয়োজিত এক বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি হামিদ এ কথা বলেন।

বঙ্গভবনকে দেশের “সর্বোচ্চ অফিস” উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “প্রতিটা কর্মকর্তা কর্মচারীকেই খেয়াল রাখতে হবে যে- বাইরের কোন লোকদের সাথে এমন কোন আচরণ করবেন না, যাতে বঙ্গভবনের মান-ইজ্জত নষ্ট হয়।”

তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে, সংশ্লিষ্ট সকলেই কষ্ট করে হলেও বঙ্গভবনের ভাবমূর্তি সুন্দরভাবে ধরে রাখবেন।

বঙ্গভবনে সুদীর্ঘ ১০ বছরের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “রাষ্ট্রপতি হলেও আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে দেশের সাধারণ মানুষেরই একজন মনে করি।”

আবদুল হামিদ বলেন, “রাষ্ট্রপতি পদটাকে একটা দায়িত্ব হিসেবে মনে করি। দীর্ঘ দশ বছরে খালাসী, খেদমতদার কিংবা কর্মচারীদের কখনোই অবহেলার চোখে দেখিনি।”

বঙ্গভবনের দশ বছরে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, “আমার দুয়ার আপনাদের জন্য সব সময় খোলা। যখন দরকার তখনই আসবেন।”

বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি হামিদকে ফুলেল শুভেচ্ছাও দেওয়া হয়।

আবদুল হামিদ তাঁর দুই মেয়াদে দশ বছর এক মাস তিনদিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে আগামী ২৪ এপ্রিল দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।

নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঐদিন শপথের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং বঙ্গভবনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

পরে রাষ্ট্রপতি সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে ইফতারে অংশ নেন। তিনি সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সূত্র : বাসস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *