ডেস্ক নিউজ:দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় রাষ্ট্রপতির আসনে থাকা মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবন ছেড়েছেন। বঙ্গভবনে রাজসিক সংবর্ধনার পর রাজধানীর নিকুঞ্জের বাসার পথে রওনা হয়েছেন তিনি। নিকুঞ্জের ‘রাষ্ট্রপতি লজে’ শেষ জীবন কাটাবেন তিনি।

বঙ্গভবন ছাড়ার আগে নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেন তিনি। এরপর বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এটিই দেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো রাষ্ট্রপতিকে সামরিক কায়দায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হলো। নানা অনুষ্ঠানিকতা শেষে আবদুল হামিদকে নিকুঞ্জের বাসায় নেওয়া হচ্ছে।

আবদুল হামিদের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, নিকুঞ্জ-১ এর ক-ব্লকের ৩ নম্বর রোডের এই বাসা নতুন ঠিকানায় থাকবেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। সেখানে ইতোমধ্যে পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী স্থানান্তর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।

শপথ অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দুপুরে বঙ্গভবন ছাড়বেন। একই দিন সন্ধ্যায় নতুন রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গভবনে উঠবেন। তবে আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে পরের দিন সকালে নতুন রাষ্ট্রপতিকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হবে।

এদিকে বঙ্গভবনে সবশেষ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জানিয়েছেন, নিকুঞ্জের বাসায় থাকলেও তিনি মাঝেমধ্যে চলে যাবেন কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে পৈত্রিক ভিটায়। সাংবাদিকবান্ধব রাষ্ট্রপতি অবশ্য নিকুঞ্জে আড্ডা দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের আমন্ত্রণও জানিয়ে রেখেছেন।

১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার দুই নম্বর সড়কে তিন কাঠা জমি পান আবদুল হামিদ। ২০০০ সালের শেষ দিকে সেখানে বাড়ির কাজ শুরু করেন। কয়েক বছর কাজ শেষে তৈরি হয় তিনতলা বাড়ি। শেষ জীবন সেখানেই কাটাবেন আবদুল হামিদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *