ক্রীড়া ডেস্ক: গত ১৯৯৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়, ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া এবং এর বছর তিনেক পর ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। সে সময় বাংলাদেশের সাফল্য বলতে এটুকুই।

এরপর পেরিয়ে গেছে অনেকটা সময়, তবে বড় কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশের ক্রিকেট। চোখে পড়ার মতো সাফল্য কেবল ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনাল খেলা।

মেয়েদের হাতে ধরে এশিয়া কাপ জিতে ২০১৮ সালে প্রথম শিরোপার দেখা পায় বাংলাদেশ। পরের সাফল্যটা ছেলেদের বয়সভিত্তিক দলের মাধ্যমে। ২০২০ সালে ভারতকে হারিয়ে আইসিসির বৈশ্বিক কোনো শিরোপা জেতে টাইগাররা। সেই দলের সদস্য ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মাতিয়ে এখন খেলছেন জাতীয় দলের জার্সিতে।

যুব দলের হয়ে শিরোপা জেতায় তাদেরকে ঘিরে দেশের মানুষের প্রত্যাশাটা একটু অন্যরকম। সেটা নিজেও বুঝেন হৃদয়। তরুণ এই ব্যাটার মনে করেন, দেশের ক্রিকেটের জুনিয়র থেকে শুরু করে সিনিয়র সবাই বিশ্বকাপ জেতার মতো সামর্থ্য রাখে। হৃদয় বিশ্বাস করেন, একদিন তারা জাতীয় দলের হয়ে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপ নিয়ে আসবেন।

বিকেএসপিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হৃদয় বলেন, ‘অবশ্যই, এখন আমাদের সবার উপর প্রত্যাশা আছে। আমি মনে করি যে শুধু আমরা না, আমাদের নিচে থেকে বা উপরে যারা সিনিয়র খেলোয়াড় আছে, প্রত্যেকের সক্ষমতা আছে দেশের জন্য ভালো কিছু করার। আমি মনে করি যে ইনশাআল্লাহ আমরা বাংলাদেশের হয়ে একদিন বিশ্বকাপ নিয়ে আসবো।’

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এবারের মৌসুমেও দারুণ ছন্দে রয়েছে তারা। এখন পর্যন্ত ১০টি ম্যাচ খেলে নয়টিতে জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। নুরুল হাসান সোহানের দল হেরেছে কেবল মোহামেডানের সঙ্গে। আবাহনী লিমিটেডের সমান ১৮ পয়েন্ট অর্জন করলেও দুইয়ে শেখ জামাল। মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারলে তারা শিরোপার দৌড়ে থাকবে বলে মনে করেন হৃদয়।

তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখন পর্যন্ত যতটুকু যাচ্ছে…টিম এফোর্ট, টিম বন্ডিও অনেক ভালো এবং সবাই দলের জন্য খেলে। যেদিন যার প্রয়োজন সবাই পারফর্ম করছে। আশা করি যদি আমরা এই মোমেন্টামটা ধরে রাখতে পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা রেসে থাকব।’

নিজের সাফল্য নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস বলতে আমি চেষ্টা করছি যতটুকু আমার দলের জন্য অবদান রাখা যায়। আত্মবিশ্বাসী আছি, ইতিবাচকও আছি। চেষ্টা করছি যদি আমি থিতু হই আমার দলের জন্য যতটুকু অবদান রাখা যায়। দলের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করি।’বাংলাদেশের হয়ে একদিন বিশ্বকাপ আনবো: তাওহীদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *