সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের এইচ.এম.এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণী কক্ষে দরজা জানালা বন্ধ করে তিন’শ.শিক্ষার্থীকে দীর্ঘক্ষণ আবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্ততঃ.১০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে.তাদের তালা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার পর ঝামেলা এড়াতে প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন
অভিভাকদের ম্যানেজ করে রাত ১১টার দিকে কৌশলে সকল শিক্ষার্থীকেহাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান ।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর আফসানা মিমি,
নবম শ্রেণীর মহীনি আক্তার মাহী, রুকাইয়া, ফতেমা, রাবেয়া, নুসরাত,রিমি ও সপ্তম শ্রেণীর নদীসহ ১১জন ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের এইচ.এম.এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের একটি কক্ষে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আবদ্ধ.করে রাখা হয়। এতে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পেয়ে অভিভাবকরা বিকাল.৫টার দিকে তাদের সন্তানদের উদ্ধার করে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে.ভর্তি করান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. সবুজ
বিশ্বাস জানান, ৮-১০ জন ছাত্রীকে এক সাথে ভর্তি করা হয়।

প্রাথমিকভাবে তাদের অসুস্থ হওয়ার কারণ জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ তারা পানি ও খাদ্য গ্রহণ করতে না পারায় মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। একটু সুস্থ্য হলে রাত ১১টার দিকে.অভিভাবকরা তাদের বাড়িতে নিয়ে যান।

অভিভাবকরা জানান, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য.সকল শিক্ষার্থীর কাছ থেকে খিচুড়ি রান্নার জন্য চাঁদা তোলা হয়। ওই.খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে বিদায় অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষর্থীকে.একটি বদ্ধ রুমে আটকিয়ে রাখা হয়।

দীর্ঘক্ষণ রুমের মধ্যে.শিক্ষার্থীদের আটকিয়ে রাখা হলেও এসময়ে তাদের পানি বা অন্য কোনওখাদ্য দেয়া হয়নি। দীর্ঘক্ষণ একটি রুমে আটকে রাখার কারণে তারা বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এঘটনায় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষক মোবারক
হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারেক হোসেন শিক্ষার্থীদের
অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্কুলের সকল শিক্ষক বিদায় অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাদের দিকে নজর রাখা হয়নি। অসুস্থ ছাত্রীরা সকালে কিছু না খেয়ে আসার কারণে এমনটি হতে পারে।

By Bartabd

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *