রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ কেউ রিকশা বা ভ্যানচালকের সন্তান, আবার কেউবা দিনমজুরের।

কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি তাদের সামনে। মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ৩৫ জন চাকরিপ্রার্থী। এদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী।
 
শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনসে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে কয়েক হাজার আবেদনকা রীর মধ্য থেকে ৩৫ জনকে নির্বাচিত করে জেলা পুলিশ।

ইতি আক্তার নামে চাকরি পাওয়া একজন বলেন, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি ১২০ টাকায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কনস্টেবল পদে চাকরি পাব। যখন আবেদন করেছিলাম তখন অনেকের কাছে অনেক কথাই শুনেছি।

তদবির লাগে, টাকা লাগে। এসব ছাড়া চাকরি হয় না। আমা র বাবা একজন ভ্যানচালক। আমি টাকা দেব কীভাবে ? কিন্তু মনের জোর এবং ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার স্যারের আন্তরিকতায় মাত্র ১২০ টাকায় আমি নির্বাচিত হয়েছি।

চাকরি পাওয়া পিতৃহারা এক প্রার্থী বলেন, আমি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। আমার বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন।

আমাদের তেমন কোনো সম্পত্তিও নেই। সংসার চালাতে গিয়ে আমরা খুব অভাব অনটনে আছি।

আমি অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করেছি এবং কনস্টেবল পদের জন্য আবেদন করি। পুলিশ সুপারের আন্তরিকতায় মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে আমি প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হতে পেরেছি, যা আমার জন্য একেবারেই স্বপ্নের মতো।

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশে নিয়োগ পেতে ব্যাংক ড্রাফ ট বাবদ ১০০ টাকা ও অনলাইন চার্জ ২০ টাকাসহ মোট ১২০ টাকা খরচ হয়েছে প্রার্থীদের। মেডিকেল পরীক্ষা শেষে তাদে র ট্রেনিংয়ে পাঠানো হবে।

জানা যায়, গত ৮ মার্চ প্রথম শারীরিক পরীক্ষা শেষে ৩০০ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন। পরে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে উত্তীর্ণ হন ৩৫ জন।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, কনস্টে বল নিয়োগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) স্যার আমা দেরকে যে সিস্টেম চালু করে দিয়েছেন তা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট।

আমরা কোনো প্রকার তদবির তোয়াক্কা না করে যে সমস্ত প্রার্থীরা শারীরিকভাবে যোগ্য ও মেধাস ম্পন্ন, যারা সকল পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে শুধু তাদেরকেই নির্বাচিত করেছি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *