
দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের নতুন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন মুখপাত্র।
বুধবারের নির্বাচন নিয়ে এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের নতুন সরকারের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে আগ্রহী। -খবর ডন অনলাইনের।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে বাকস্বাধীনতা, অ্যাসোসিয়েশন ও গণমাধ্যমের ওপর চাপ প্রয়োগের খবরে আমরা উদ্বিগ্ন।
নির্বাচন ফল নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক রেজাল্টের অপেক্ষায় আছি। তাদের প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তের ওপর আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
এদিকে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী দাবি করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান। এরই মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি তার দেশ পরিচালনার নীতির কথা তুলে ধরেছেন।
পারমাণবিক শক্তিধর একমাত্র মুসলিম দেশ পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগতভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরাশক্তিগুলোর নানা স্বার্থ।
ফলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলা ইমরান খানের প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির বিষয়েও বিশ্বজুড়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের পর প্রথম বক্তব্যে সে বিষয়ে ইমরান তার নীতিও তুলে ধরেছেন।
ইমরান খান তার পররাষ্ট্রনীতিতে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক। এ ছাড়া আফগানিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ইরান ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
এদিকে ইমরান খানের বিজয় দৃশ্যমান হয়ে যাওয়ার পর তার প্রশাসনের বিষয়ে নিজেদের ভাবনার কথা তুলে ধরেছে পাকিস্তানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত মিত্র চীন। এতে পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে চীন।