শহিদুল ইসলাম মহেশপুর থেকে ”
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ১১ নং- মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৮ নং- ওয়ার্ডের শ্যামনগর গ্রামে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কেরামত আলী প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে নিজ বাড়িতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
এর আগে এই নিয়ে বিভিন্ন গন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও তেমন কোনো সদয়বান ব্যক্তি সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। অথচ ১৯৭১ সালে দেশকে স্বাধীন করার জন্য শত্রুমুখে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন এই হতদরিদ্র কেরামত আলী।
স্বরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে তিনি একটা নির্জন ঘরে নিরবে পড়ে আছে। তার বাম হাতে দেওয়া আছে স্যালাইন। ছোট্ট একটা চেয়ারে বসা তার স্ত্রী মোছাঃ সাফিয়া বেগম বারান্দায় তার সন্তান ও আত্মীয় স্বজন। তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি কথা বলতে পারেননি। তার ছোট ছেলে মোঃ ইব্রাহীম জানান ডাক্তার বলেছেন অপারেশন করার সময় পার হয়ে গেছে। প্রতিদিন ১টি করে ইনজেকশন দিচ্ছেন যা ৭ দিন চলবে।
তিনি আরো বলেন তার শরীরের ভিতরে পিত্তথলীতে পাথর সহ ইনফেকশন রয়েছে। এ কারণে বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে রয়েছেন। যতদিন যাচ্ছে তার অবস্থার তত অবনতি হচ্ছে। প্রথমে তাকে যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। তারপর সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসার পর তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
খোজ নিয়ে জানা যায় কেরামত আলী বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি প্রাপ্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৯৭১ সালে মহান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৮ নং-সেক্টর এর কমান্ডার মেজর নাজমুল হুদা’র নেতৃত্বে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। সেই যুদ্ধে তিনি আহত হন।
মৃত্যুপথযাত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা কেরামত আলীর জন্য তার পরিবার দেশবাসী ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।