পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ
পাইকগাছায় ৭ম শ্রেণী পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতা হানির অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন মেইন রাস্তায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনু ষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, খড়িয়া দাখিল মাদরাসার সুপার জি এম মনিরুজ্জামান,উক্ত মাদ্রাসার সভাপতি ও প্রাক্তন শিক্ষক মোঃ শামছুর রহমান গাজী, গ্রাম বাসীর পক্ষ থেকে মোঃ হযরত আলী।
এ সময় বক্তরা বলেন, অভিযুক্ত বাদশা সানা একজন কু-চরিত্রের মানুষ। সে ইতিপূর্বেও এলাকার আরও কয়েকটি মেয়েদের সাথে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে এমনকি তার পরিবারের চাচী ও বোনও তার লালসার হাত খেকে রেহায় পায়নি।
সর্বশেষ গত ৫ অক্টোবর ৭ম শ্রেনী পড়–য়া এক শিশু শিক্ষা র্থীর সা থে একইরুপ আচরণ করে তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। উক্ত ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগো হয়েছে। বক্তরা আরও বলেন, এই বাদশার জন্য এখন অনেক শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় আসতে পারছেন না।
কারন তাদের সাথেও মাঝে মধ্যে রাস্তায় এমন আচরণ করেসে। কু- চরিত্রের এই জঘন্য ব্যক্তি বাদশার শাস্তি ও তার বিরু দ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনাও করেন মানববন্ধনে বক্তারা।
জানা গেছে অভিযুক্ত বাদশা খড়িয়া গ্রামের ইয়াসিন আলী সানার ছেলে ও ভিকটিম শিক্ষার্থী একই গ্রামের জনৈক বাবু লের মেয়ে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে ইউনিয়ন বিএনপির সাং গঠনিক সম্পাদক মোঃ হযরত আলী, ছাত্রদল নেতা মোঃ রাসেল, কৃষকদ লের ইউনিয়ন সভাপতি ডাঃ সাহামত, স্বেচ্ছা সেবক দল নেতা ছা ইবুর ইসলাম, যুবদল নেতা আব্দুর রা জ্জাক, আনারুল সরদার, শাওন সানা, শফি সানা, সোয়ান সানা, হবি সানা, রিপন সরদার, জাকির সানা, আশরাফুল সানাসহ উক্ত মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও অত্র এলাকার শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত বাদশা জানান, সে আমার সম্পর্কে শালিকা হয়। তার সাথে এ সংক্রান্ত কোন ঘটনা আমার সাথে ঘটেনি। তবে আমার দোকান নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথেবিরোধ থাকায় তারা উদ্দেশ্যমু লক ভাবে আমাকে জড়িয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহিলা বিষ য়ক কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে।
সর্বশেষ বিক্ষপ্ত জনতা অভিযুক্ত বাদশার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
Bartabd24.com সব খবর সবার আগে