মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তেলের সাথে পানি মেশানোর অভিযোগ উঠেছে মাহবুবুর রহমান নামে এক তেল ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে। উপজেলার গাজির বাজারের ওই ব্যাবসায়ী একই সাথে তার প্রতিষ্টানটিতে মটর পাটর্স বিক্রি ছাড়াও ম্যাকানিকের কাজও করে থাকেন। এলাকায় তিনি মাহাবুব ম্যাকানিক নামেও পরিচিত। ক্রেতাদের অভিযোগ মটর পার্টসের ব্যাবসার সাথেই তিনি দির্ঘদিন
পেট্রোল ও ডিজেল তেলের মধ্যে পানি মিশিয়ে ভেজাল তেল বিক্রি করে আসছেন।
উপজেলার পান্তাডাঙ্গা গ্রামের ট্রাক্টর চালক শরিফুল ইসলাম জানান, মাহবুবের দোকান থেকে তেল কিনে তার ট্রাক্টরে ভরেছিলেন। এরপর ট্রাক্টরের ইন্জিনের বেশ সমস্যা দেখা দেয়। পরে ট্যাংকির তেল ফেলে অন্য দোকান থেকে নতুন তেল ভরার পরই ইন্জিন স্বাভাবিক হয়। পরে তিনি জানতে পারেন ওই অসাধু তেল বিক্রেতা মাহাবুব প্রতিনিয়ত তেলে পানি মিশিয়ে বিক্রি করে থাকেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ বাধলেও পরে বিষয়টি তারা নিজেরাই মিমাংসা করে নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন তিনি।
ওই বাজারের আজিজ ব্যাপারি নামে অপর এক ব্যবসায়ী জানান, তিনিও তার গাড়ীর জন্য আট লিটার তেল কিনেছিলেন। কিন্তু গাড়ী চালাতে সমস্যা হওয়ায় এবং পরে।তেল চেক করে পানি দেখতে পেয়ে তা ফেরত দিয়েছিলেন। তবে, বিক্রেতা মাহাবুব
তাকে বলেছিল বৃষ্টির পানি কিছুটা তেলের ব্যারেলের মধ্যে ঢুকে এমনটা হয়েছে।
তেলে পানি মেশানোর বিষয়টি অস্বিকার করেই অভিযুক্ত মাহাবুব ম্যাকানিক জানান, তেলের ব্যারেল দোকানের বাইরে থাকে। বৃষ্টির সময়ে কিছু পানি ব্যারেলের মধ্যে ঢুকতেও পারে। আর তেলের মধ্যে পানি মিশিয়ে বিক্রি করি এটা মোটেও সঠিক নহে।
এমন বিষয়ে ওই বাজারের অপর তেল ব্যাবসায়ী লস্কার ষ্টোরের মালিক বাচ্চু লস্কর জানান,ব্যারেলের মধ্যে বৃষ্টির পানি ঢোকা সম্ভব নয়। তবে, অনেক সময় ব্যারেল ঘেমে।৫০/১০০ গ্রাম পানি ঢুকতেও পারে। কিন্তু ৮/১০ লিটার পানি ঢোকা একেবারেই অসম্ভব।
অনেক গাড়ির ড্রাইভারদের থেকে তেলে ভেজালের বিষয়টি তিনিও শুনেছেন বলে জানান তিনি।