ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও সদর উপজেলার নারগুন, মোহাম্মদপুর, চিলারং, বেগুনবাড়ী, সালন্দর, রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়, কাশিপুর, হরিপুরের তালতলা, চৌরঙ্গী, ডাঙ্গীপাড়া, পাহাড়গাঁও, বীরগড়ে আগাম রকেট ৫৫ জাতের ভূট্রার মাঠ ঘুরে দেখা যায় সবুজে ছেয়ে গেছে। কিছু গাছে মোচা পরিপক্ক হচ্ছে। এবার চাষিরা ভালো ফলনের আশা করছেন। ধানের চেয়ে কম খরচে হয় ভুট্টার চাষ। একদিকে খরচ কম অন্যদিকে উৎপাদনে ধানের চেয়ে ভুট্টার ফলন প্রায় দ্বিগুণ।
প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে কৃষকের খরচ ২২ থেকে ২৪ হাজার আর বিঘা জমিতে ভূট্রার দাম লাগে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে জেলায় চলতি বছর ভূট্রা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৩৩ হাজার ৫শ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ৪০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে। আবহাওয়া অনূকুলে ও পোকার আক্রমন কম থাকায় ভালো ফলনের আশা কৃষি বিভাগের।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভেলাজান গ্রামের ভূট্রা চাষী তালেব বলেন, প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানীর ভুট্টা আবাদ করলেও এবার আলফা সীডস্ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানীর আগাম রকেট ৫৫ জাতের ভূট্রার চাষ করে অধিক লাভের আশা করছি।
রায়পুর ইউনিয়নের সামসুজ্জুহা বলেন, রকেট ৫৫ জাতের ভূট্রার আগা গোড়া সব সমান। ভূট্রার দানাও বেশ বড়। সে কারণে দেখে মনে হচ্ছে আমরা যে পরিমাণ ফলনের আশা করিছিলাম তার চেয়েও বেশি হতে পারে।
আলফা সীডস্ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানীর মার্কেটিং অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, শুধু ঠাকুরগাঁও নয় সারাদেশে আমরা ভূট্রার বীজ সর্বরাহ করা হয়েছে। রকেট ৫৫ জাতের ভূট্রার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। চাষিরা একরে ১৮০ মন পযর্ন্ত ফলন পাচ্ছেন। আশা করি এ বছরের তুলনায় আগামী বছর রকেট ৫৫ জাতের ভূট্রার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মো: আলমগীর হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁ ওয়ের পাঁচ উপজেলাতেই ভূট্রা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাষিরা বিভিন্ন জাতের আগাম হাইব্রীড জাতের ভূট্রার চাষ করেছেন। চাষিরা ভূট্রা চাষে বেশি লাভবান হওয়ায় আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি বিভাগ থেকে যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা প্রদান করা হয়েছে। এ বছরও ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়ে কৃষকেরা ন্যর্য্য মূল্য পাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও
০১৭৪০৮৬১০৮০