এস ইসলাম, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি স্থগিত করায় জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন ও সদস্য সচিব হারুনর রশিদ পাপ্পু। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে জেলা বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান উপজেলার বিএনপির একাংশ।
রবিবার (৭ মে) দুপুরে উপজেলার আব্দুলপুর কদমতলায় স্থানীয় বিএনপির কার্যলয়ে এক কর্মসূচিতে এদাবি জানানো হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, সদস্য সাজেদুর রহমান হলুদ, সদস্য ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনসুর রহমান, উপজেলা ছাত্র দলের যুগ্ম আহবায়ক সাকিব আহমেদ প্রমূখ।
এর আগে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অধিকাংশ যুগ্ম আহ্বায়কদের না ডেকে ঢাকার বনশ্রীতে নিজ বাসভবনে সদস্য সচিবকে ডেকে নিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইয়াসিন আরশাদ রাজন। যার সত্যতা পেয়ে গত ৩ মে জেলা বিএনপি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে লালপুর উপজেলার সকল ইউনিয়ন বিএনপি’র কমিটি অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গঠন করার প্রমান পাওয়ায় সকল কমিটি ও কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষনা করেন এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে কারন দর্শানোর নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি তারা অফিসিয়াল ভাবে উপযুক্ত কারন দর্শানোর আগেই মিথ্যা বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য দিয়ে গত ৬ মে শনিবার প্রেসবিজ্ঞপ্তি দেওয়াতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তাদের এমন আচারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় তীব্র নিন্দা জানান। এবং প্রকৃত সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এছাড়া গত ৬ মে শনিবার অন্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লালপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন বলেন, আমার যা বক্তব্য আমি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছি। আমার প্রেস বিজ্ঞপ্তির জবাব জেলা দিবে। তারা( আরিফ) কে? তিনি বলেন তারা বিএনপির কেউ না। তাদের সাথে বিএনপির কে আছে খোঁজ করুন। তিনি আরো বলেন ইউনিয়ন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নিয়মের কোন ব্যাত্যয় ঘটেনি। প্রতিটি ইউনিয়ন এ কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে থানা আহবায়ক কমিটির সকল যুগ্ম আহবায়ক এবং সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটি স্থগিত ও শোকজ গঠনতন্ত্র এবং বিএনপির কনভেনশনাল রাজনীতির পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এটি দলীয় অভ্যন্তরীন বিষয় হওয়া সত্বেও বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় সাংবাদিক ও বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যার কারণে শোকজের জবাব দেওয়ার আগেই তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের নিকট এই প্রেস রিলিজ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।