ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর অপহরণ মামলায় ২ টি ধারায় যাবজ্জীবন ও ১৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
দন্ডিত ব্যক্তি হলো-হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আমিরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদাণ করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি বজলুর রহমান জানান, ২০০৮ সালের ১৫ মে হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না গ্রামের ৭ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম।
দুই দিন ঝিনাইদহ শহর ও হরিণাকুন্ডুর সাতব্রীজ এলাকায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে। ১৭ মে ঝিনাইদহ শহরের কলাহাট এলাকায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় আমিরুল ইসলাম।
এ ঘটনায় ২৯ মে নির্যাতিতার মা বাদি হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় আমিরুলকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৯ জুলাই আমিরুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে।
দীর্ঘদিন বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলায় একটি ধারায় আমিরুলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২ লাখ টাকার জরিমানা এবং অপর একটি ধারায় ১৪ বছরের কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকার জরিমানা করে। মামলায় অপরাধের সাজা একসাথে কার্যকর হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *