আলিফ হোসেন,তানোরঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে (কাঁচি) প্রতিক নিয়ে প্রতিদন্দীতা করছেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী।
তাকে বিজয়ী করতে তাঁর পক্ষে প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন সাবেক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এদিকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, গোলাম রাব্বানী দু’বার দলীয় মনোনয়নে উপজেলা নির্বাচন কর ছেন।
কিন্ত্ত দু’বারই আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও তিনি এক সময় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এমপি ফারুক চৌধুরীকে ফেরে স্তার সঙ্গে তুলনা করে রাব্বানীর বিরুদ্ধে অকথ্য-অশ্লীল ভাষায় সমালোচনা করেছেন।
অন্যদিকে গোলাম রাব্বানী একটা সময় বিভিন্ন সভা-সমা বেশ এমপি ফারুক চৌধুরীর পক্ষ নিয়ে একইভাবে অকথ্য-অশ্লীল ভাষায় আব্দুল্লাহ মামুনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন।
এদিকে বিগত জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনসহ প্রতিটি নির্বাচনে বি দ্রোহী প্রার্থী দেয়াসহ দল, নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানী এবং নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে রাব্বানী-মামুন দুজনেই সরাসরি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভোট করেছেন।
তৃণমুলের ভাষ্য, এরা কখানোই আওয়ামী লীগের ভালো চাই না। কারণ হিসেবে তারা বলছে, বিগত ২০১৯ সালের ১০ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কামারগাঁ ইউপির কচুয়া ভোট কেন্দ্রে দুর্বল হাতুড়ি প্রতিকের কাছে নৌকা বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়।
অথচ কচুয়া গ্রামে সম্পাদক আব্দু ল্লাহ আল-মামুনের বাড়ি. এখানে আওয়ামী লীগের দুর্গ দেশ স্বাধীনের পর যেকোনো নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগের এটাই ছিল প্রথম পরা জয়। কিন্ত্ত কেনো সম্পাদকের কেন্দ্রে নৌকার এমন ভরা ডুবি-? এতে কি প্রমাণ হয় না সম্পাদক নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন-?
অপরদিকে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারী মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে একই ভাবে চুনিয়াপাড়া ভোটকেন্দ্রে বিপুল ভোটের ব্যবধানে দুর্বল স্বতন্ত্র প্রার্থীর জগ প্রতিকের কাছে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। অথচ এখানে সভাপতি গোলাম রাব্বানীর বাড়ি এবং নৌকার দুর্গ। এতে কি প্রমাণ হয় না রাব্বানী নৌ কার বিপক্ষে কাজ করেছেন।
অন্যদিকে বিগত ১৪ ফেব্রু য়ারী তানোর পৌরসভা নির্বাচনে গোলাম রাব্বানী ও আব্দু ল্লাহ আল-মামুন নৌকার পক্ষে মা ঠে নামেন।
মুন্ডুমালায় নৌকার বিপক্ষে আর তানোর নৌকা র পক্ষে কি অদ্ভুদ কান্ড ?
আবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতারের পক্ষে ভোট করেছেন রাব্বানী।
অথচ সেই রাব্বানীকে ঈঙ্গিত করে আখতারুজ্জামান আখ তার বলছেন,স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক জন এক সময় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে তিনিও নানা অপকর্ম করেছেন।
ভোটাররা সেটাও বিবেচনা করছেন।’ সচেতন মহলের প্রশ্ন যারা মহান স্বাধী নতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তারা কখানো নৌ কার বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারেন না।
এদিকে সাধারণ ভোটারদের মনে প্রশ্ন, এরা কখন কার পক্ষে থাকে, কখন কি রঙ বদলায় সেটা বোঝা দায় ?
তারা রাজনী তি বোঝেন না, উন্নয়ন দেখতে চাই। ফলে উন্নয়নের সঙ্গে স ম্পৃক্ত থেকে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কোনো ব্যক্তি নয় সরকার দলীয় প্রতিক নৌকার বিজয় দেখতে চাই।
এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও গোলা ম রাব্বানী ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#