মুহা: জিললুর রহমান,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় বুধবার ধার্য্য দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে রাস্ট্রপক্ষ।

সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলর আদালতে এই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আদালত আগামী ১৮ এপ্রিল মামলা দুটির রায়ের দিন ঘোষণা করেছেন।

যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৭ জন আসামীকে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। এ মামলায় অ্যাড. আব্দুস সাত্তার নামের এক আসামী জামিনে মুক্ত রয়েছেন, নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন ও দুই জন মারা গেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, জিপি অ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ,অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু এবং আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম, এড. শাহানারা আক্তার বকুল,এড. আব্দুল মজিদ প্রমুখ।

সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি এড. আব্দুল লতিফ জানান, ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য দিয়েছেন। রাস্ট্র ও আসামীপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনও শেষ হয়েছে। আগামী ১৮এপ্রিল মামলার রায়ের দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।

আসামীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম জানান,ঘটনার দিন মামলার প্রধান আসামী সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ছিলেন না। তিনি সেদিন ঢাকাতে ছিলেন। আমরা আশা করি,বিজ্ঞ আদালত এই বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন।

প্রসঙ্গতঃ বিগত ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন কলারোয়ার একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে।

সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে পৌছালে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে।

এতে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীসহ কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মী আহত হন। এঘটনার এক যুগপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকড করা হয়। অবশেষে দুই দশক পর মামলার বিচারকার্য শেষের পথে।

এর আগে একই মামলার হামলা ও ভাংচুর অংশের বিচারে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রায় হয়। এতে বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০জন আসামীর প্রত্যেকের সর্বনিন্ম ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০বছর পর্যন্ত সাজা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন ও দুই জন মারা গেছেন।

এছাড়া একজন জামিনে রয়েছেন। অন্য আসামীরা বর্তমানে এই সাজায় সাতক্ষীরা কারাগারেই আছেন। পরে একই ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

পরে গত বছরের ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। এ মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া শেষে গত ১৫ মার্চ বুধবার থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *