পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশাের কেশবপুর উপজেলার সরাপপুর গ্রামের ভুমিদস্যু ও মামলাবাজ গৌর চদ্র মল্লিক গংদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে কেশবপুর প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী।

শনিবার (২৯ এপ্রিল-২৩) বিকেলে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এলাকার মনােরজ্ঞন মল্লিকের পক্ষে পল্লী চিকিৎসক কাজল মল্লিক লিখিত বক্তব্যে বলেন, সরাপপুর গ্রামের মৃত বসন্ত মল্লিকের ছেলে গৌর চন্দ্র মল্লিক (৭৫) তার ছেলে উত্তম কুমার মল্লিক (৪৫) ও প্রদীপ কুমার মল্লিক (৩৮) এলাকার সরকারী রাস্তা, মন্দিরের জায়গাসহ একাধিক ব্যক্তির জায়গা-জমি জাের পূর্বক জবর-দখল করে নিয়েছেন। এব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে তারা নিরীহ এলাকাবাসীর ওপর হামলাসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। এরই মধ্যে তারা আমার ও আমার পরিবারসহ এলাকার দিন মজুর ও শিক্ষক সুশান্ত মল্লিকের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করাসহ আমাদের ভারতে তাড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন।

গৌর চন্দ্র গংরা সরাপপুর গ্রামের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে জবর-দখল করে রাস্তার উপর ভেঁড়ী বাঁধ নির্মানসহ বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখার ফলে যান ও মানুষ চলাচলের বিঘ্ন সষ্টি হচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার-সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযােগ করা হলেও রাস্তাটি আজ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়নি।

এছাড়া সরাপপুর সার্বজনীন মন্দিরের নামে রেকর্ডীয় সম্পত্তি জবর-দখল করে রেখে শিক্ষক সুশান্ত মল্লিকের ব্যক্তি মালিকানার জমি এবং সরকারী রাস্তার উপর মদির নির্মান করার পায়তারা করছেন। আমরা এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তিনি আরাে বলেন, তারা এলাকার সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের সংঘাত বাঁধাতে গত ২৪ এপ্রিল গৌর চন্দ্র মল্লিকের ছেলে প্রদীপ কুমার মল্লিক সরাপপুর গ্রামের সার্বজনীন কালী মন্দির ভাংচুর করা হয়েছে মর্মে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে তার ফেসবুক আইডিতে মিথ্যা তথ্য পােষ্ট করেছেন। এতে স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এব্যাপারে যে কােন সময় তা সংঘাতে রুপ নিতে পারে। তাদের লিখিত বক্তব্যে জানান, গ্রামের ভূক্তভোগী সাধারণ, নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় মানুষ সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে দাবি উক্ত ভূমি দস্যু, দখলবাজ ও মিথ্যা মামলাবাজ গৌর চন্দ্র মল্লিক, উত্তম কুমার মল্লিক ও প্রদীপ মল্লিক গংদের এহেন ঘটনার বিচার ও শাস্তি দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন, সরাপপুর গ্রামের শান্ত মল্লিক, গােবিন্দ মল্লিক, মনিদ্র মল্লিক, সুব্রত মল্লিক, জয় মল্লিক, সুশান্ত মল্লিক, কাজল মল্লিকসহ প্রায় ২০জন গ্রামবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *