রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও: দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও।
জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলা ব্যতীত চারটি উপজেলায় সীমান্ত ঘেঁষা।
পাশের দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের পাশাপাশি ও সীমান্তঘেঁষা হওয়ায় এ জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি থাকে।
সবার আগে শীত আসে। আবার সবার পরে শীতের বিয়োগান্ত ঘটে। তবে শীতের জেলা হলেও এ জেলার মানুষ জানতে পারেন না কোন দিন কত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দিন কাটে তাদের। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষক ও পেশাজীবী মানুষ।
শীতের দাপটে এ জেলার মানুষ অভ্যস্ত হলেও এবারে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। চলতি বছরের শুরুতে শীতের প্রকোপে বিপাকে পড়েছেন জেলার মানুষ। সারাদিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত চারপাশ আর হিমালয়ের হিম শীতল বাতাসে স্থবির হয়ে পরেছে জনজীবন।
আবহাওয়া অফিস না থাকার ফলে গণমাধ্যমকর্মীরা সঠিক তাপমাত্রার খবর প্রচার করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। অনেকের আলু ক্ষেতে পচন রোধ ও বোরোধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে গিয়ে ছে।
সারাদেশে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সঠিক তথ্যের অভাবে বন্ধ হচ্ছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে তীব্র শীতেও শিক্ষা র্থীদের আসতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানে।
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মিঠু বলেন, শীতের সময়ে তাপমাত্রা নিয়ে প্রতিনিয়ত আমা দের আপডেট দিতে হয়।
অনেক সময় পাশের জেলা আবহাওয়া অফিস থেকে তথ্য নিতে হয়। আবার কখনো মুঠোফোনে দেখে তথ্য দিতে হয়। এতে করে আমার সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হই।
ঠাকুরগাঁও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকতার হোসেন বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখার কথা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস না থাকার কারণে এ রকম সিদ্ধান্ত নেও য়া কঠিন হয়ে পড়েছে। মুঠোফোনে একেক সময় একেক রকম তাপমাত্রা দেখা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে সম্পৃ ক্ত। আবহাওয়া অফিস হলে আগ থেকে পূর্বাভাস জানা সম্ভ ব হবে। এতে করে কৃষকরা ফসলের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, সব চেয়ে আবহাওয়া অফিস হলে ভালো হয়। আমরা বিষয়টি অধিদপ্তরকে অবহিত করব৷