আদমদীঘি (বগুড়া ) প্রতিনিধি ঃ আদমদীঘিতে সার ব্যবসা য়ীদের বিরুদ্ধে বেশি দামে সার বিক্রি করার অভিযোগ উঠে ছে।

ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমওপি সার প্রতি বস্তায় ৭০ টাকা থেকে চারশ’ টাকা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা।

শুধু তাই নয়,কৃষকদের অভিযোগ এসব সার বিক্রির বিপরি তে কোন রশিদ দেওয়া হচ্ছে না।

পরে বিক্রয় রশিদে আদায় করা দামের পরিবর্তে সরকার নির্ধারিত দাম লিখে রাখা হয়।

সারের সংকট না থাকলেও ইরি-বোরো চাষাবাদের ভরা মৌসু মে সারের উচ্চ মুল্য গুনতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, প্রতি বস্তা ইউরিয়া ও টিএসপি সারের খুচরা দাম এক হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্তু কৃষকরা কিনছেন এক হাজার ৪২০ টাকা দামে।

আবার সব চেয়ে কম দামের এমওপি সার বেচা-কেনা হচ্ছে সব চেয়ে বেশি দামে।

প্রতি বস্তা এমওপি সারের খুচরা মুল্য এক হাজার। কিন্ত কৃষকদের নিকট থেকে দাম নেয়া হচ্ছে এক হাজার ৩৫০ টাকা থেকে এক হাজার ৪২০ টাকা পর্যন্ত।

জানা যায়, ইউরিয়া সারের ক্ষেত্রে কাফকো, টিএসপি’র ক্ষেত্রে তিউনিশিয়া থেকে আমদানি করা কালোদানা এবং এমওপি সারের ক্ষেত্রে কানাডা থেকে আমদানি করা দানা দার সার কৃষকদের নিকট বেশি চাহিদা সম্পন্ন হবার সুযোগে দাম বেশি নেয়া হয়।

তবে কম চাহিদার সারগুলো নির্ধারিত দামেই বেচা কেনা চলছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বড় ও মাঝারি কৃষক।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, সারের দাম বেশি নিলেও রশিদে সরকার নির্ধারিত মূল্যে লেখা হয়।

অনেক কৃষককে রশিদ ও দেওয়া হয়না।এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ অভিযোগ ভিত্হিীন বলে দাবী করে বলেন, সার ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা তাঁকে জানি য়েছেন যে সার বিক্রিতে বেশ মন্দা চলছে।

এমন অবস্থায় বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগের বিষয়টি গ্রহনযোগ্য নয়। তবে কৃষকদের নিকট থেকে লিখিত কিম্বা মোবাইল ফোনে অভিযোগ করা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *