আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেনের বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) ডলারের মানহানির মামলা করেছেন। ব্যক্তিগত আইনজীবীর চুক্তি লঙ্ঘন করার অভিযোগে কোহেনের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছেন ট্রাম্প।
বুধবার (১২ মার্চ) ফ্লোরিডার নির্বাহী আদালতে করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, কোহেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন। তিনি চুক্তি ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে নিয়ে বিভিন্ন বিবৃতি দিয়েছেন, বই প্রকাশ করেছেন এবং মিডিয়ায় কথা বলেছেন।
ট্রাম্পের এক সময়কার ‘ফিক্সার’ কোহেন সাম্প্রতিক সময়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন ‘ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে।’
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ‘মুখ বন্ধ রাখতে’ এক পর্ন তারকাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। দাবি করা হয় ট্রাম্পের সঙ্গে ওই নীল ছবির তারকার একটা সময় সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আনতে চেয়েছিলেন। ওই সময় অর্থ দিয়ে ওই পর্ন তারকার মুখ বন্ধ করা হয়। আর এই পর্ন তারকার হাতে এই অর্থটি তুলে দিতে সহযোগিতা করেছিলেন মাইকেল কোহেন।
তবে এই অর্থ পর্ন তারকাকে দেওয়া হলেও, এটি নিয়ে মিথ্যা বলেছিলেন ট্রাম্প। এ কারণে এ মাসের শুরুর দিকে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। এই অভিযোগ গঠনে সরকারি কৌঁসুলিকে সহযোগিতা করেছেন ট্রাম্পের সাবেক বিশ্বস্ত আইনজীবী কোহেন। আর এ বিষয়টি নিয়েই ক্ষিপ্ত হয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট।
মামলায় বলা হয়েছে, ট্রাম্পের কোনো অনুমতি না নিয়ে কোহেন তার অনেক গোপন ও মিথ্যা তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করেছেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
তবে মাইকেল কোহেনের আইনজীবী ল্যানি ডেভিস দাবি করেছেন, ট্রাম্প আইনের অপব্যবহার করছেন। তার আশা তার মক্কেল এই মামলা থেকে মুক্তি এবং ন্যায় বিচার পাবেন। সূত্র: সিএনএন