স্টাফ রির্পোটার, (যশোর) ॥ আগামী ২১ শে মে যশোরের চৌগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই নির্বাচনী মাঠ জমে উঠেছে।
এবারের নির্বাচনে নির্বাচনে চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৯ জন প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তারা দিনরাত ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা কর ছেন। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদেরও বেশ কদর বেড়ছে।
১৯৭৭ সালে গঠিত চৌগাছা উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা রয়েছে। এ উপজেলায় প্রায় ৪ লাখ জনসংখ্যা বিদ্যমান। বর্তমানে মোট ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪’শ ২৮। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১ হাজার ৬৫ ও মহি লা ভোটার ৯৮ হাজার ৩’শ ৬৮। মোট ভোট কেন্দ্র ৮১ ও বুতে র সংখ্যা রয়েছে ৫’শ ৭৮টি।
এবারের,উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপ জেলা চেয়ারম্যান ও মৃধাপাড়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. এম মোস্তানিছুর রহমান (প্রতীক মটরসাইকেল) ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম হাবিবুর রহমান (প্রতীক আনারস) নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন, পৌ র কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান (প্রতীক তালা) ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী শামীম রেজা (প্রতীক বৈদ্যতিক বাল্ব)।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে মাঠে আছে ন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নিহত যুবলীগ নেতা ইমামুল হাসান টুটুলের স্ত্রী আকলিমা খাতুন লাকি (প্রতীক কলস), যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক নাছিমা খাতুন (প্রতীক হাঁস), বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজ নিন নাহার (প্রতীক বৈদ্যতিক পাখা), যুব মহিলালীগ নেত্রী কাম রুন্নাহার শাহিন (প্রতীক ফুটবল) ও রিপা ইসলাম (প্রতীক প্রজাপতি)।
এ নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন।
এ সব প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি গ্রাম,পাড়া, মহল্লা ও হাটবাজারে নিজে দের অনুকুলে ভোট প্রার্থনা করছেন।
ফলে প্রার্থীরা অধিকাংশ সময় বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তারা ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। কুশল বিনিময়, কুলা কুলি, হ্যান্ড শেকতো চলছেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভোট প্রার্থনা চালানো হচ্ছে। প্রার্থীরা নিজে দের ফেসবুকে প্রচারণার তথ্য তুলে ধরছেন। এছাড়া লিফ লেট, পোস্টার ঝুলানো হয়েছে। প্রচার মাইকও চলছে সমান তালে।
উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা তছলিমুর রহমান, ইছাপুর গ্রামে র পাশা, নজরুল ইসলাৃম,যাত্রাপুর গ্রামের ইউছুফ আলী, স্বরুপদাহ গ্রামের তরিকুল ইসলাম,যাত্রাপুর গ্রামের আক্তা রজ্জামান মিঠু,ইউছুফ আলী খান,আশরাফ হোসেনসহ শতা ধিক রাজনৈতিক নেতা ও সাধারন ভোটারদের সাথে কথা হয়।
তাদের অভিমত হলো এবারের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাই তাদের ভোটের প্রতি তেমন আগ্র হ নেই বললেই চলে।
নির্বাচনী মাঠে চেয়ারম্যান পদে ড,এম মোস্তানিছুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম হাবিবুর রহমান তারা উভয়েই আও য়ামী লীগের রাজনীতিবিদ। একজন বর্তমান চেয়ারম্যান অন্যজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।
এছাড়া ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা তরুন উদীয়মান নেতা শামিম রেজা,দুই বারের নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলার সিদ্দিকুর রহমান ও মহিলা ভাইস-চেয়ার ম্যান পদে ৫জন প্রার্থী। এরা সবাই আওয়ামী লীগের ঘরনার।
এসব প্রার্থীদের ভোটের ফলাফল অনেকটা জামায়াত-বিএন পির ও সাধরন ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার উপরই অনেকটা নির্ভর করছে। এমন কি ভোটের চিত্র বা ফলাফলও বদলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
তারা আরও মত দিয়েছেন,এবারের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ভোট বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাই আওয়া মীলীগের ভোটের পাশাপাশি যারা দলের বাইরে ও সাধারন ভোট বেশী পাবেন সেই প্রার্থীই বিজয়ী হবেন। তাই ২/১ জন প্রার্থী ভোটের স্বার্থে বিএনপি-জমায়াতের নেতা-কর্মীরা যাতে ভোট দিতে যাই সেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
বিএনপি-জামায়াতের উপজেলার দায়িত্নশীল পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা নাম না বলার শর্তে বলেন, দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তনুযায়ী সম্প্রতি পাশ্ববর্তী কেশবপুর, মনিরামপুর,কা লীগজ্ঞ উপজেলায় হয়ে যাওয়া উপজেলা নির্বাচনে বি এন পি-জামায়াত ভোট নর্জন করেছে।
তাই দলীয় সিদ্ধান্তনুযায়ী চৌগাছার জামায়াত-বিএনপির কর্মী ও সমর্থকরা ভোটের মাঠে না যাবার সম্ভাবনাই বেশী।
তবে নানা কারনে অতি উৎসায়ী সুবিধাবাদী কেউ ভোট দিতে গেলেও তার সংখ্যা খুব বেশী হবে না।
চৌগাছায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯ প্রাথী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন
চৌগাছায় উপজেলা নির্বাচনে:৯ প্রাথী ভোট যুদ্ধে মাঠে
চৌগাছা উপজেলা নির্বাচনে দুই জন চেয়ারম্যানসহ ৯ প্রার্থী মাঠে