এস ইসলাম, লালপুর( নাটোর) প্রতিনিধি:নাটোরের লালপুরে বিলমাড়ীয়া ও দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরে ব্যাক্তি মালিকানা জমির খাজনা চালুর পর ভূমি জরিপের ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
ওই দুই ইউনিয়নের পদ্মা নদীর এলাকার ৪৮ নং নও সারা সুলতানপুর ও ৫৫ নং দিয়াড় সংকরপুর মৌজায় ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রায় পাঁচ হাজার একর আবাদি জমি যাহার সি,এস এ এবং আর, এসের রেকর্ড মালিকের নামে চলমান আছে।
এসব জমিতে ফলজ বাগান, ইক্ষু, টিনসেড পাকা বাড়ি, একাধিক মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন ফসল রয়েছে। অধিকাংশ জমি নদীতে ভেঙে যাওয়ার পরে খাজনা বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে জমি মালিকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদে জমির মালিক ও এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দিয়াড় সেটেলমেন্ট এর উপ সচিব খান নাজমুস সোয়েব , উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাশীষ বসাক ও বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মিষ্টু প্রমুখ।
এসময় জমির খাজনা চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবি জানান এলাকাবাসীরা। খাজনা চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন উপ সচিব।
কিন্তু বিভিন্ন তাল বাহানা করে জমির খাজনা চালু না করে ভূমি জরিপ করার জন্য সিন্ধান্ত নেন উপস্থিত অতিথিরা। এতে হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়ে জমির মালিক ও এলাকাবাসীরা। পরে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন তারা।
এবিষয়ে আশরাফুল ইসলাম বাবলু, অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, সাজদার রহমান, আলতাব হোসেন, রাজন আলী সহ শতাধিক জমির মালিক বলেন, জমির খাজনা চালু করে ভূমি জরিপের কাজ করতে সরকারের কাছে আবেদন জানান।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাশীষ বসাক বলেন, আমরা বিষয়টি কতৃপক্ষকে অবগত করেছি। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের। আমার কিছু করার নেই।