রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও : অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্য।ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ সন্তানকে বিক্রি করলেন এক মা।
বাড়ি ভাড়া ও মুদি দোকানের বকেয়া পরিশোধের জন্য সদ্য ভূমিষ্ঠ ছেলে সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। আর এই সন্তান কিনেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটে। সন্তান বিক্রি করা ওই মায়ের নাম শিল্পী বেগম। তিনি জেলার গোয়ালপাড়া এলা কার রায়হানের স্ত্রী। নবজাতকটি তার চতুর্থ সন্তান ছিল।
শিল্পী বেগম জানান, প্রায় এক যুগ আগে বিয়ে হয় তার। সংসারে আরও দুই ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
তবে চতুর্থ সন্তান গর্ভে আসার পরই তার স্বামী রায়হান হঠাৎ বাড়ি থেকে কোথায় চলে যায়।
এরপর সংসার চালাতে বিপাকে পরে যান শিল্পী বেগম। সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় মানুষের বাসায় কাজ করে কো নোরকম দিনযাপন করতেন।
এভাবে বাড়িওয়ালা ও মুদি দোকানে অনেক টাকা বকেয়া জমে যায়।
স্বামীর অনুপস্থিতি জেনে গর্ভের সন্তান বিক্রির পরামর্শ দেয় স্থানীয় একটি দালাল চক্র।
উপায়ন্তর না দেখে বাড়িভাড়া ও দোকানের বাকি পরিশোধ করতে নবজাতক সন্তান বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরে নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করেন সন্তানকে।
শিল্পী বেগম আরও জানান, সন্তান বিক্রি করে সামান্য কিছু টাকা পেয়েছেন তিনি। সে অর্থ দিয়ে চাল-ডাল কিনেছেন।
সন্তান মানুষ করতে কষ্ট হবে ভেবেই জসিম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে সন্তান বিক্রির সিন্ধান্ত নেন তিনি।
জসিম জানান, তার বিয়ের বয়স ১৫ বছর। এখনও কোনো সন্তান হয়নি। চিকিৎসক বলেছেন, তাদের সংসারে সন্তান হবে না।  খোঁজ পেয়ে সামান্য অর্থে শিশুটিকে নিজের সন্তান হিসেবে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএ নও) বেলায়েত হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে নবজাতক ক্রয়-বিক্রয়ের কোনো সুযোগ নেই।
এটা অপরাধ। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে খতিয়ে দেখে তাৎক্ষ ণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *