চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৭ শতাংশ। আর ভোর ৬টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেক র্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৫ শতাংশ। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনও প্রায় একই তাপমাত্রা ছিল।
তবে আজ শুক্রবার তাপমাত্রা কমে আবারও ৮ ডিগ্রিতে চলে আসে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা আবারও কমে যাওয়ায় দুর্ভো গে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের কষ্ট বেড়েছে। শীতে কাজ পাননি অনেকে।
দিনমজুর  লিটন মিয়া বলেন, ‘শীত একটু বেশি থাকলেই কাজ পাওয়া যায় না। আজও কাজ পাইনি।
কাজের জন্য এসে বড় বাজারে দাঁড়িয়ে থেকে চলে যেতে হচ্ছে।’
ভানচালক নিয়ামত আলী বলেন, ‘আজ শুক্রবার বড় বাজার হাটে কাঁচামালের ভাড়া পাওয়া যায়।
আজও এসেছি। তবে বাজারে লোক না থাকায় ভাড়া হয়নি খুব একটা। বেশি শীত পড়লেই বা কী, আমাদের তো উপায় নেই, কাজ করতেই হবে। তবে কাজ না থাকলে বেশি কষ্ট হয়।’
জেলা শহরের কোর্টপাড়ার বাসিন্দা ও বেসরকারি চাকরি জীবী সেলিমুল হাবিব সেলিম বলেন, ‘ভাবলাম এবার তাপমাত্রা বাড়বে। কিন্তু আজ তো আবার নেমে গেছে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, আজ সকাল ৯টায় চুয়া ডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রায়ও ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আগামীকালও একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, আগামী রোববার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। আগামী ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, চুয়াডাঙ্গায় শীত একটু বেশি।
শীতের শুরু থেকেই সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া শীতবস্ত্র ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে এসব দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে পাওয়া সাহায্যও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *