চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি ॥ শিশু নাসিম রেজা বয়স ৩ বছর ১ মাস। এই বয়সে তার বাড়ির আঙিনায় ছুটাছুটি করে বেড়ানোর কথা, মা বাবা, দাদা দাদির সাথে খুনসুটি করে সময় পার করা কথা কিন্তু না মরণব্যাধি ক্যান্সার তার সব কিছুই থমকে দিয়েছে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুধুই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।
চিকিৎসক বলেছেন, দ্রুত অপারেশন করতে হবে ব্যায় হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা। গরীব কৃষক পিতার পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা দুঃস্বপ্ন,তাই সরকারসহ সমাজের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন শিশুটির বাবা মা সহ স্বজনরা।
চৌগাছার নারায়নপুর ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের পিতা
আলাউদ্দিন ও মা সবিতা খাতুনের ছেলে নাসিম রেজা।
২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর মা সবিতা খাতুনের কোল আলো কিত করে পৃথিবীতে আসে শিশুটি। ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর হতে সে খুবই চঞ্চল প্রকৃতির ছিল।
কিন্তু আড়াই বছর বয়সে তার পেটে হঠাৎ ব্যাথা শুরু হয়, ব্যাথার যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে শিশু নাসিম রেজা। বাবা মা শিশুকে নিয়ে ছুটে যায় চিকিৎকের কাছে, কিন্তু রোগ নির্নয় হয় না।
একপর্যায়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ বেলায়েত হোসেন শিশুটিকে দেখে একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা দেন।
পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শিশুটির পেটে টিউমার হতে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়া সনাক্ত হয়। চলে অপারেশনের ব্যবস্থা। কৃষক পিতা আলাউদ্দিন ছুটে আসেন গ্রামের বাড়িতে।
মাঠে থাকা শেষ সম্বল ৮ কাটা জমি বিক্রি করে এবং এনজি ও ও আত্মীয় স্বজনদের নিকট থেকে ধার করে টাকা নিয়ে চলে যান ঢাকায়। অপারেশনসহ এ পর্যন্ত তার ৮ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে।
এখন আরও একটি অপারেশন করতে হবে, যার ব্যায় নির্ধা রণ করা হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা।
অসহায় পিতা মাতা শিশুটিকে নিয়ে বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছেন।
শিশুটির পিতা আলাউদ্দিন ও মা সবিতা খাতুন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, বুকের ধন কলিজার টুকরা সন্তানকে সুস্থ্য করে তুলতে সব কিছুই শেষ করেছি, এখন আর অবশিষ্ঠ কিছুই নেই। চিকিৎসক জানিয়েছেন দ্বিতীয় অপারেশন জরুরী।
কিন্তু এতো টাকা কোথায় পাবো, কে দিবে টাকা এই কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
আলাউদ্দিন আরও বলেন, রোগ সনাক্ত হওয়ার পর হতে বিভিন্ন ডাক্তারের কাছেছুটাছুটি পরীক্ষা নিরীক্ষা সর্বশেষ ঢাকা শিশু হাসপাতালে অপারেশ করতে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে।
এনজিও দেনাসহ বিভিন্ন জায়গায় দেনায় জর্জরিত তারপ রও দ্বিতীয় অপারেশন করতেই হবে অন্যথায় সন্তানকে বাঁচা নো যাবেনা। এখন টাকার জন্য কোন উপাই না পেয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে ছুটে এসেছেন।
সন্তানকে সুস্থ্য করে তুলতে শিশুটির পিতা মাতা সরকারসহ সমাজের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন। যোগাযোগ মোবাইল- ০১৭৪৫ ৩৮০ ৫০১।