স্টাপ রিপোটার;চুয়াডাঙ্গা থেকে: ঝিনাইদহের সীমা ন্তবর্তী উপজেলার মহেশপুরে অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম শস্য বীজ উৎপাদন খামার দত্তনগর কৃষি ফার্ম।
মহেশপুর উপজেলার এশিয়ার  বৃহত্তম দত্তনগরের বীজ উৎপাদন খামার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা অ নিয়ম দুর্নীতিতে জর্জরিত।
ভূয়া বিল ভাউচার, হাইব্রিড বীজ প্রেরণে অনিয়ম, শ্রমিকের টাকা আত্মা সাৎ, নারী কেলেংকারীসহ খা মারে নানা অনিয় ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কু শোডাঙ্গা বীজ উৎপা দন খামারের উপ  পরিচাল ক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।
তিনি মহিলা শ্রমিকদের প্রতিদিন জনপ্রতি ২০০ টা কা করে হাজিরা দিয়ে আসছেন । কিন্তু মাস্টা ররো ল দেখিয়েছেন ৪০০ টাকা করে।
এছাড়াও তিনি শ্রমিকদের হাজিরা নিজের ইচ্ছা ম তো ভূয়া মাস্টা ররোলে তৈরি করেন  এবং  মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন কুশো ডাঙ্গা বীজ উৎপাদন খামারের শ্রমি করা।
এছাড়াও নানা দূর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে এলাকার শ্রমিকসহ সাধারণ  জনগন কৃষি মন্ত্রী, ঝি নাইদহ ৩আসনের সংসদ সদস্য,  বি এ ডিসির  চে য়ারম্যান, দূর্নীতি দমন কমিশন বরাবর অভিযোগ পত্র দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
 জনশ্রুতি আছে এবং   নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা  বলেন তিনি সদস্য পরিচালক মোস্তাফি জুর রহমা নের  নাম ভাঙ্গিয়ে ভয়ভীতি প্রদ র্শন করে   মোটা অংকের অর্থ চাঁদা আদায় করে থা কেন  অনন্য উপ পরিচা লক ও সহকারী কর্মক তা দের কাছ থেকে।
এসব অত্যাচার, অনিয়ম দূর্নীতির কথা কোন কর্ম চারী কর্মকর্তা মূখ খোলেন না। কেউ বললেও তাকে বদলি করাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য দূর্নীতিবাজ উপ-পরিচালক রেজাউল করিম কুশাডাংগা খামারে যোগদান করেই নিজেকে জনপ্র শাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের জামাই পরিচয় দিয়ে এহেন কর্মকান্ড সাথে দম্ভের সাথে শুরু করেন।
খামার পাড়ায় গুঞ্জন আছে রাতে মাদক সেবন করে ন আর ১১/১২ টা পর্যন্ত ঘুমান। খামারের এক জন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন উপ পরি চালক রেজাউল ইসলাম খামরটিকে দূর্নীতি  ভয়ের রাজ্য তৈরি করেছেন তার এসব অপ ক র্মের বিরু দ্ধে কেউ  মুখ খুললেই  তাকে বদলী সহ বিভন্ন ভাবে হয় রানি করে থাকেন।
মহিলা শ্রমিকদের ৪০০ টাকা হাজিরা না দিয়ে ২০০ টাকা দেওয়া। ঈদ কোরবানিতে বোনাসের টাকাভুয়া মাস্টার রোল তৈরী করে লক্ষ লক্ষ টাকা পকে টস্থ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খামারে বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান তারা শুধু মাত্র হাজিরা নিয়ে থাকেন আর পরে আসাদ স্যার আর বড় স্যার নিজের ইচ্ছা মতো মাস্টাররোল  তৈরি করেন।
তথ্য অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এই দুর্নীতি পরায়ন রেজাউল উপ- পরিচালকের আরো ভয়ংকর তথ্য তিনি জামাতের মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত মতিউর রহমান নিজামির নিকট আত্মীয় হয়েও নিজেকে পরিচয় দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রীর জামাতা।
তিনি একটি ব্লক ও চালান। নামে মাত্র সহকারী কর্ম কর্তা আসাদ কে দায়িত্ব দিলেও মুলত তিনি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন ।
এই আসাদ বদলী হলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার বদলী স্থগিত করেন  তিনি।
এবং তার মাধ্যমেই এসব অপকর্ম করে থাকেন।  গতমাসে শ্রমিকদের হাজিরা ব্যাংক একাউন্ট এবং চেকের মাধ্যমে  দেয়ার  জন্য অডিট আপত্তি  আসে ।
কতৃপক্ষ সে মোতাবেক একটি পরিপত্র দেন কমিটি করে শ্রমিক হাজিরা চেকের মাধ্যমে দেয়ার জন্য।
সে আদেশকে তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছা মতো ভূয়া মাস্টার রোল তৈরী করে  শ্রমিকদের হাজিরা প্রদান করেন।
এ নিয়ে খামার পাড়ায় বিভিন্ন গুনজন রয়েছে। এ খামারে যোগদান করার পর থেকে  ঢাকা শহরে কো টি টাকার  ফ্লাট ও জায়গা জমি কিনেছে নিজের এবং তার স্ত্রীর নামে।ভুয়া বিল ভাউচার তৈরী করে শ্রমিকদের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এই খামারে  দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই দীর্ঘ দিন  অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে নিজেস্ব  বলাই তৈরী করে নিজের খেয়াল খুশিমতো খামারটিতে দূর্নীতির আকড়ায় পরিনত করেছেন বলেও গুনজন রয়েছে খামার পাড়ায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপ পরিচালক রেজাউল ইসলা মের সাথে  মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আপনি আমার কাছে আসেন খামারে একটু আধটু অনিয়ম হয়েই   থাকে।
তবে আমার যে অভিযোগ আনিত হয়েছে তা মিথ্যা ।স্হানীয় এক সাংবাদিকে দিয়ে ম্যানেজ করার ও চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় বি এ ডিসির খা মার বিভাগের ম্যানেজার  যুগ্ম পরিচালক সেলিম হায়দারের সাথে তিনি বলেন অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক  ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
কথা হয় এ জিএম ফক রুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন কিছু অসংগ তির কারণে  শ্রমিক হাজিরা চেকের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে না।
তবে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  সাবেক মহা পরিচালক বর্তমান কৃষি মন্ত্রীর উপদেষ্টা হামিদুর রহমানের সাথে তিনি বলেন ব্যাংক চেকের মাধ্যমে দেওয়া হয় না তা আমার জা না ছিল না মন্ত্রণালয়ের মিটিং এ বিষয়টি উথাপন করে  ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *