সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
নিখোঁজের দু মাস পরও সন্ধান মেলেনি সাতক্ষীরা টাউন গার্লস হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী মোছাঃ সাদিয়া আফ রিন মুন্নির। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে নিখোঁজ রয়েছে সে। এঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে সদর থানায় এক টি মামলা দায়ের করেছেন।

মেয়েকে উদ্ধারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা।

নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী সাদিয়া আফরিন মুন্নি সাতক্ষীরা পৌর সভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কাটিয়া এলাকার মজিজুল ইস লামের মেয়ে।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, সাদিয়া আফরিন মুন্নী (১৮) সাতক্ষীরা টাউন গার্লস হাইস্কুলের নবম শ্রেণিতে লেখা পড়া করে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে মুন্নি বাড়িতে একা ছিল। তার বাবা ও মা বাড়ীর বাইরে ছিল।

সন্ধ্যায় মুন্নির মা বাড়ীতে এসে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকে। কোন সন্ধান না পেয়ে এক পর্যায়ে ৫ অক্টোবর সাতক্ষীরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরে ৯অক্টোবর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মধ্য কাটিয়া গ্রামের মোঃ খোরশেদ, তানিশা, ফাতেমা খাতুন, কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের শরিফুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ১/২ জন নারী পাচারকারী, নারী নির্যাতনকারী, সংঘবদ্ধ পাচারকারী দলের সক্রিয় সদ স্য। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মুন্নিকে বাড়ি থেকে ডেকে ইজিবাইকে করে খোরশেদ এর বাড়িতে নিয়ে যায় তানিশা।

পরবর্তীতে একটি মাইক্রোবাস যোগে তাকে কলারোয়া থানার কেড়াগাছি গ্রামে শরিফুল ইসলামের বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং ভারতে দালাল চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। আর্থিকভাবে লাভবানের উদ্দেশ্যে মুন্নিকে ভারতে পাচার করা হয়েছে বলে দাবী করেন তার পরিবার।

নিখোঁজ সাদিয়া আফরিন মুন্নির বাবা মজিজুল ইসলাম জানান, তানিশা নামের একটি মেয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে তার মেয়েকে বাড়ি থেকে মোবাইল ফেনে ডেকে নিয়ে যায়।

খোরশেদ, আনার ও মহসিন নামের তিন যুবক প্রায়ই মুন্নির সাথে ফোনে কথা বলতো।

তিনি এ সময় তার মেয়েকে ওই চক্রটি ভারতে পাচার করেছে বলে অভিযোগ করেন। বিষয়টি তিনি থানা পুলিশকে জানা লে সদর থানার এএসআই ফিরোজ তানিশা ও খোরশেদকে ডেকে থানায় নিয়ে আসেন।

পরে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কায়ছা রুজ্জামান হিমেল মুন্নির খোঁজে সহযো গিতা করবে এই শর্তে তার জি ম্মায় ওই দুজনকে ছাড়িয়ে নেন।

তবে এসব ঘটনার দু’মাস পার হলেও এখনও পর্যন্ত মুন্নির বাবা মজি জুল তার মেয়ের কোন সন্ধান পাননি।

এব্যাপারে তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের
সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *