মামুন পারভেজ হিরা,নওগাঁ ঃ নওগাঁয় শয়নকক্ষ থেকে জবাই করা মিলন (২৪) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত ১১টার দিকে শহরের দয়ালের মোড়ের পাশে বউবাজার এলাকার একটি ভাড়াবাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মিলন শহরের চকমুক্তার মহল্লার মৃত আব্দুল মালেক এর ছেলে।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ শহরের দয়ালের মোড়ের পাশে বউবাজার এলাকায় মোজাম্মেল হকের বাসা।
তবে তিনি শহরের বাসায় না থেকে গ্রামের বাড়ি জেলার মান্দা উপজেলায় বসবাস করেন। তার বাসাটি ভাড়া দেও য়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন শাশুড়ি সাজেদা বেগমকে। গত মঙ্গলবার দুপুরে মিলন ও শারমিন নামে এক মহিলা নিজে দের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসাটি ভাড়া নেন। রাতের কোন এক সময় মিলনকে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায় শারমিন। বাসার জানালা খোলা থাকলেও মুল দরজায় তালা দেওয়া ছিল। প্রতিবেশীরা নতুন ভাড়াটিয়ার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আসলেও দরজায় তালা দেখা ফিরে যান। তবে রাত ৯টার দিকে ঘরের জানালা খোলা থাকায় উঁকি দিয়ে দেখে রক্তাত্ত অবস্থায়কেউ শুয়ে আছে। পরে থানা পুলিশে সংবাদ দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তালা ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে দেখে ঘরে জবাই করা মরদেহ পড়ে আছে।
বাসার মালিকের শাশুড়ির সাজেদা বেগম বলেন, বাসার দুইটা অংশ। মাঝখানে দেয়াল দিয়ে আলাদা করা আছে। একপাশে ভাড়াটিয়া আছে। অপরপাশেও ফাঁকা ছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে তারা দুইজন স্বামী- স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মাসিক চার হাজার চুক্তিতে ভাড়া নেয়। তাদের কাছে জাতীয় পরিচ য়পত্র চাওয়া হলে আগামীকাল দিবে বলে জানায়। বাসা পরিস্কার করে তারা দু’জনে থাকা শুরু করে। তবে রাতের কোন এক সময় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। বাসার মালিকের শালিকা আমেনা খাতুন বলেন, বাসার দরজায় সকাল থেকেই তালা দেওয়া ছিল।
সারাদিনই কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। জানালা খো লা থাকায় রাত ৯টার দিকে উঁকি দিয়ে দেখা যায় চাদর গায়ে রক্তাক্ত অবস্থায় কেউ শুয়ে আছে। পরে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে তালা ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে।
নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় মরদেহের পরিচয় মিলন নামে সনাক্ত করা হয়েছে। তবে প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রকৃত পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া হত্যার সাথে জড়িত দের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।